ফজলুল বারী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দরিদ্রদের পাকা ঘর দিয়েছেন এগুলোর বাজেট ছিলো খুব কম। দুই কক্ষের ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম, সামনের বারানদাসহ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকার মধ্যে একেকজনের বাড়ি বানাতে হয়েছে। অথচ মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপজেলায় উপজেলায় যে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে এর শুধু গেট তথা তোরণ নির্মাণের বাজেটই ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা। ইউএনওদের বলা হয়েছে ওই বাজেটের মধ্যে ঘর করে দিতে হবে। তারা তা করেছেন। এরমধ্যে প্রথাগত ঠিকাদার ছিলেন না। ইউএনওরা নিজেরা নির্মাণ সামগ্রী কিনে এলাকার মিস্ত্রিদের ডেকে সবাইকে নিয়ে এক রকম অসাধ্য সাধন করেছেন।
আমার এ নিয়ে একাধিক ইউএনও’র সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও জানেন এই টাকায় এই বাজারে বাড়ি বানানো সম্ভব নয়। সরকারি কর্মকর্তা, মুখ ফুটে বলতে পারেন না। এসব বাড়ির সামনে পিছনে রাস্তা বা কোনোকিছুই পাকা করা হয়নি। বর্ষায় কাদা হবে। ইউএনওরা বলেছেন এখন কাবিখার গম দিয়ে রাস্তা পাকাসহ নানা প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করা হবে। বই উৎসবের মতো এসব বাড়ি উৎসব এলাকায় এলাকায় আলোচনার বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশে যা হয় এসব বাড়ি নিয়েও তা শুরু হয়েছে। যুগান্তর রিপোর্ট করেছে অমুক জায়গার অমুকের বাড়ির দেয়াল ধসে পড়েছে। আমাকে একজন ইউটিউবের একটি ক্লিপ ইনবক্সে দিয়ে হাহাকার করতে করতে বলেছেন, আমাদের স্বপ্নগুলো এভাবে ধংস করছে কারা।
বাড়ি কতোগুলো বানানো হয়েছে? মোট কয়টা বাড়িতে সমস্যা পেয়েছেন? একটু দৃষ্টিভঙ্গি বদলান। তরুণ তুখোড় একদল ইউএনও কাজ করছে সারাদেশে। বাড়ি যেগুলোর সমস্যা চিহ্নিত হবে এর প্রতিকার এই ইউএনওরাই করার যোগ্যতা রাখেন। তাদের মাথার ওপরে শেখ হাসিনাতো আছেনই। যিনি ঘর দিয়েছেন, ঘরের সমস্যা সমাধানের নতুন প্রকল্প বরাদ্দও তিনি দিতে পারবেন। এরচেয়ে বরং তখন নতুন কী নিয়ে হাহাকার করবেন এর ফর্দ অনুসন্ধান করতে পারেন। ফেসবুক থেকে মাসুদ হাসান