মাসুদ আলম : [২] বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তরুণীর আড্ডার সঙ্গী ফারজানা জামান নেহাকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বন্ধু-বান্ধবীদের কাছে ডিজে নেহা নামে পরিচিত ছিলো সে। উত্তরার সেই পার্টির আয়োজন করে নেহা ও আরাফাত। পাঁচ দিনে রিমান্ড চেয়ে শনিবার আসামি মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাদ আলম তাফসিরকে আদালতে তোলা হলে রায়হান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া শুক্রবার নেহাকে ৫ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সাফায়েত জামিল কারাগারে রয়েছে। এছাড়া আরেক আসামি আরাফাত মারা গেছেন।
[৩] মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, ৫ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার রায়হান ও নুহাদ আলমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ধারণা ওই শিক্ষার্থী ও আরাফাতের অতিরিক্ত মদপানে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মামলার ৫ নম্বর অজ্ঞাত আসামি সাফায়েত জামিল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
[৪] সংশ্লিষ্টরা সূত্রে জানা গেছে, নেহা ও তার বন্ধুরা সারা ঢাকায় মদ ও ডিজে পার্টিতে অংশ নিতো। নাচানাচি করে বন্ধুদের আনন্দ দিতো সে। নিহত ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে রায়হানের র্দীঘদিনের সর্ম্পক ছিলো। ওই শিক্ষার্থীর নিয়ে বিভিন্ন পার্টিতে অংশ নিতো রায়হান। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে রায়হানের শারীরিক সর্ম্পকও ছিলো বলে জানা গেছে। এছাড়া নেহা ওই দিন রেস্টুরেন্টে মদপান করার পর মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। তিন প্যাক মদপান করে নেহা। এরপর সেখান থেকে তিনি বাসায় চলে যান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
[৫] নিহতের বাবা ফারুক হোসেনের অভিযোগ, তার মেয়েকে মদপান করিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এটি পরিকল্পীত হত্যা। ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়নি।
[৭] ২৮ জানুয়ারি রাতে ওই শিক্ষার্থী তার বন্ধু রায়হানের ডাকে সাড়া দিয়ে লালমাটিয়ায় তাদের বন্ধু আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটি রেখে তিনজন মিলে একটি গাড়িতে করে উত্তরার ব্যাম্বু রেস্তোরাঁয় যান। তাদের বান্ধবী নেহা এবং অপর এক ছেলে বন্ধু সাফায়েত সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল। নেহা ও তার সঙ্গে থাকা ছেলে বন্ধু প্রথমে চলে যান। পরে ওই তরুণী, রায়হান ও আরাফাত একসঙ্গে বের হন। আরাফাত গুলশানে নেমে গিয়ে সেখান থেকে মাওয়ায় গিয়ে আরেকটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন
ওই তরুণীকে নিয়ে রাতে মোহাম্মদপুরে নুহাদ আলম তাফসীরের বাসায় উঠেন রায়হান। সেখানে ওই তরুণী বেশ কয়েক বার বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গত শনিবার হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :