শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৩১ দুপুর
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরিফ জেবতিক : ঐতিহাসিক ৫ ফেব্রুয়ারি, গণজাগরন দিবস নিয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিরা অনেক বড় বড় কথা লিখবেন, আমি একটা ছোট ফোঁড়ন কেটে যাই

আরিফ জেবতিক : ঐতিহাসিক ৫ ফেব্রুয়ারি, গণজাগরন দিবস। এই দিনে জ্ঞানী ব্যক্তিরা অনেক বড় বড় কথা লিখবেন, আমি একটা ছোট ফোঁড়ন কেটে যাই। শাহবাগ যে কতো গুরুত্বপূর্ণ ছিলো সেটা আমরা নিজেরা টের পাইনি প্রথমে, এখন পাই ছাগুদের ম্যাতকারে। আজ ৮ বছর পরেও দেখবেন ছাগুরা এসে হরদম কমেন্টবক্সে লেদিয়ে যাবে, ‘তাহলে আরেক শাহবাগ করেন’, নয়তো বলবে ‘শাহবাগীরা আজ কই?’ নইলে বলবে ‘শাহবাগীরা সব পালিয়ে বিদেশ চলে গেল, দেশে কিছু করতে পারল না।’চুক চুক চুক, কত্তো আফসোস শালাদের!

ওয়েল ডিয়ার ছাগু এন্ড ছাগীজ, আমরা কই, আমাদের পোলাপানরা সবাই ইন্টারনেটের কোন অংশে আছে,  এই হিসাব তোমরা পাবা না। ছাগুরা যখন ফেসবুকে ম্যাতকার করে আর শিঙ নেড়ে জানান দিচ্ছে যে তারা অনলাইনে আছে, তখন শাহবাগের তরুণরা অনলাইনের ভিন্নমাত্রায় চলে গেছে। আমাজনে বাংলাদেশের যারা সবচাইতে বেশি সাফল্য পাচ্ছে, তাঁদের বড় দলটা শাহবাগী তরুণ। দেশের বড় বড় এফিলিয়েট মার্কেটার যারা কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছে, তাদের কী প্লেয়ার তরুণরা শাহবাগী। যে শাহবাগী তরুণ দেশ ছেড়ে চলে গেছে, সে হয়তো দেশে থাকলে আর পড়াশোনাই করত না, এখন বিদেশে কোনো না কোনো একটা কোর্স অন্তত করছে। অনেকেই গ্রাজুয়েশন করছে। জীবন যুদ্ধ করছে এবং সেই যুদ্ধে জয়ী হচ্ছে।

আমার খুব ঘনিষ্ট এক শাহবাগী ভাই, বিদেশ চলে গেছে ঠিকই কিন্তু সেখানে একেবারে ছোট একটা ব্যবসাকে এখন যেভাবে ধীরে ধীরে বড় করছে-আমি অবাক হয়ে দেখি। একদিন হয়তো ঢাকায় থাকলে সে কোনো অফিসের ছোট চাকুরে হতো, সেই ছেলে এখন বিদেশে বসেই ঢাকায় অফিস চালু করেছে, সেখানে অন্যরা চাকুরি করে। আমাদের তরুণদের তোমরা আর সহজে দেখবা না, কারণ এরা ঠিকঠাক জীবনের হিসাব বুঝে নিতে চলে গেছে।

আমি এদেরকে দেখি আর মুগ্ধ হই। এরা সবাই দেশে ও বিদেশে সাফল্য পাচ্ছে। অধিকাংশই ইন্টারনেটকে উপজীব্য করেই নিজেদের মেধা খাটিয়ে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। সেদিনের পিচ্চিরা যখন উত্তরা কি পূর্বাচলে প্লট কেনা নিয়ে আলাপ করে, আমি বড় বড় চোখে তাকিয়ে দেখি। এরা বিয়েশাদী করছে (আমারে যারা দাওয়াত দেস নাই, সাবধানে থাকিস কইলাম কিন্তু), ছেলেমেয়ের বাপ-মা হচ্ছে। ইতিহাস আমাদের কাধে যে দায়িত্ব অর্পন করেছিল, দেশ আমাদের যখন ডেকেছিল, তখন সেই ডাক আমরা উপেক্ষা করিনি। ইতিহাসের দায় মিটিয়ে দিয়ে তারপর আমরা কিন্তু চলে গেছি জীবন গোছাতে।  ইয়েস, উই মুভড অন।

তোমরা যারা বাঁশের কেল্লার কমেন্ট বক্সে ৮ বছর পরেও আহাজারি করে আমাদের খোঁজ নাও, তোমরা আমাদের দেখা প্রয়োজন ছাড়া পাবা না। কমেন্ট বক্সের খেলা আমরা ৮ বছর আগেই শেষ করে এসেছি। ইয়েস, স্টিল উই ডোমিনেট

ইন্টারনেট, ইন আওয়ার ওয়ে,  ইন আওয়ার টার্মস। এমনকি, ইন্টারনেটে তোমাদের সবচাইতে বড় যে হুজুর, সেই হুজুরটাও তোমরা নিজেদের মধ্য থেকে নিতে পারলা না। সে বেচারাও একজন সাবেক শাহবাগী। লুজার্স! ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়