দেবদুলাল মুন্না: [২] গত শুক্রবার ভোরে ইয়াঙ্গুনে মেয়ের বাসা থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন। তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছে এনএলডি। এএফপির খবরে জানা যায়, সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা উইন হেটেন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নেপিডো থেকে ইয়াঙ্গুনে গেছেন। সেখানে মেয়ের বাড়ি থেকে শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনএলডির প্রেস কর্মকর্তা কি টোয়ে বিবিসিকে বলেন, তাঁকে নেপিডোতে পুলিশ স্টেশনে আটক করে রাখা হয়েছে।
[৩] অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস নামে ইয়াঙ্গুনভিত্তিক একটি দল মিয়ানমারে রাজনৈতিক নেতাদের আটকের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে। তারা বলছে, সেনা অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের ১৩০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিয়ানমারে ফেসবুক সেবা বাধাগ্রস্ত করতে টেলিকম অপারেটরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে মিয়ানমারের লাখ লাখ মানুষ নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে থাকে।
[৪] উইন হেটেন দীর্ঘসময় রাজবন্দী ছিলেন। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাঁকে বিভিন্ন সময়ে আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ও মিয়ানমারের গণমাধ্যমে সু চি কী ভাবছেন তা তাঁর মাধ্যমে জানার চেষ্টা করা হয়।
[৫] সু চিকে গ্রেপ্তারের আগে উইন হেটেন স্থানীয় ইংরেজি গণমাধ্যমকে বলেন, সেনাবাহিনী অবিবেচকের মতো কাজ করছে। সেনাবাহিনী দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর তিনি বলেন, সেনাবাহিনী আমাদের সরকারকে ধ্বংস করে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। দেশের প্রত্যেককে যতটা সম্ভব প্রতিবাদ জানাতে হবে।