শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৫:৩২ সকাল
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৫:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১] স্থবিরতা কাটেনি পুস্তক-প্রকাশনী বিক্রয়কেন্দ্রে, সুসময়ের অপেক্ষায় প্রকাশক ও বিক্রেতারা

অপূর্ব চৌধুরী: [২] বাংলাদেশের বই বিক্রি, ছাপানো এবং সরবরাহের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র বাংলাবাজার। দেশের বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস) এর রাজধানী শাখার অফিস বাংলাবাজারে অবস্থিত।বিভিন্ন শ্রেনীর বই, ক্রেতাদের ভিড় এবং বিক্রেতাদের ব্যাস্ততা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে উঠা বই-পুস্তকের ঐতিহ্যবাহী এই মার্কেটের চিরায়ত রূপ ছিল একসময়। দেশব্যাপী পাঠ্য বই, সৃজনশীল বই সরবরাহের পাশাপাশি পুরনো বইয়ের জন্যও বাংলাবাজার বিখ্যাত। তবে করোনা মহামারির প্রকোপে উল্টে গেছে বাংলাবাজারের সার্বিক প্রেক্ষাপট।

[৩] করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রয়েছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে দেশের পুস্তক-প্রকাশনী ও বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে। একই প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে বাংলাবাজার। দ্রুত স্থবিরতা কাটানোর কোন উপায় নেই বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।জানা যায়, ক্রেতা শূন্যতা, আগের চেয়ে বইয়ের বিক্রি কয়েক গুণ কমে যাওয়া, নতুন বইয়ের চাহিদা না থাকাসহ বেশ কয়েকটি কারণে পুঁজি হারিয়েছে অধিকাংশ ব্যবসায়ী । ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে নির্ধারিত সময়ে বইমেলা শুরু না হবার মধ্য দিয়ে।

[৪] বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ক্রেতাশূন্য বাংলাবাজারের ফুটপাতের ওপর গড়ে উঠা কয়েকশত পুরাতন বইয়ের দোকান।একই অবস্থা বড় দোকানগুলোতেও। ক্রেতা না থাকায় অবসর সময় কাটাতে দেখা যায় বিক্রেতাদের।স্বল্প কয়েকটি দোকানে কদাচিৎ দুই একজন ক্রেতা আসছে।

[৫] ৩০ বছর ধরে বাংলাবাজারে পুরাতন বইয়ের ব্যবসা করেন মাহবুব উদ্দীন। তিনি বলেন, বই বিক্রি নেই বললেই চলে।সারাদিনে দুই একজন ক্রেতা আসে।স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বই বিক্রি হত। আর এখন প্রতিদিন বিক্রি হয় ৬০-৮০ টাকা।

[৬] নূর আলম নামে অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, অন্যান্য বছর এই সময়ে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়।তখন বই বিক্রিও বেড়ে যেত। তবে এবার আর সেই অবস্থা নেই।এখন ১০০ টাকার বেশি বিক্রি হয়না। কেবল সুসময়ের আশা নিয়েই এখনো ব্যবসাতে আছি।

[৭] আঁখি বুক সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ কবির বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ,নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে অনাড়ম্বরভাবে, বই মেলাও এবার দেরিতে শুরু হচ্ছে।সার্বিকভাবে আমাদের বই বিক্রি ৮৫-৯০% কমেছে।করোনায় পুস্তক প্রকাশনী ও বিক্রয় খাত একদম ধ্বংসের দিকে।

[৮] এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন,সারাদেশে প্রায় ছাব্বিশ হাজার প্রকাশক ও বিক্রেতা রয়েছেন। করোনার প্রকোপে তারা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুস্তক প্রকাশনীর শিল্প একদম ধ্বংসের পথে। সরকারের প্রণোদনা মাঠ পর্যায়ের কর্মী পর্যন্ত আসেনি।এখন সবাই কেবল সুসময়ের অপেক্ষায় আছে। এছাড়া আর কোন আশা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়