ইমরুল শাহেদ: বিনোদন জগত এখন ক্রমশই অন-লাইন নির্ভর হয়ে উঠছে। এই ক্ষেত্র প্রতিদিনই প্রসারিত হচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতি নিয়তই নতুন নতুন পথ উদ্ভাবিত হচ্ছে। এজন্য চলচ্চিত্র অস্তিত্বের প্রশ্নে পড়েছে। সিন্ডিকেট তৈরি করে টিভি চ্যানেল আপাতত একটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
সিন্ডিকেটের কারণে নাটক নির্মাতারা টিভি চ্যানেলের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে নিজেদের ঘুম হারাম করছেন। কেউ কেউ নাটক নির্মাণ করে দীর্ঘদিন বসে থাকার পরও প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারেননি। সুতরাং তারা হাল ছেড়ে এ্যাপস ও ইউটিউবের দিকে ঝুঁকছেন। টিভি চ্যানেলগুলো পছন্দের কিছু পারফর্মারকে নিয়ে এক শ্রেণীর নির্মাতাকে নিয়ে যোগসাজশে তৈরি করেছে সিন্ডিকেট। টিভিতে নাটক প্রচার করতে হলে সেই সিন্ডিকেটের সহায়তা নিতে হবে। ফলে অন্যান্য পারফর্মাররা যেমন কেরিয়ারের ক্ষেত্রে এগুতে পারছেন না, তেমনি সুবিবেচনার অভাবে ভালো নাটকগুলো প্রচার হতে পারছে না।
এজন্য টিভি নাটক এখন পুরোপুরিভাবে রিমোট-বাটন নির্ভর হয়ে পড়েছে। দর্শক কোনো নাটক দেখেই তৃপ্ত নন। এই সিন্ডিকেট প্রথার বিরুদ্ধে স্বনামে কেউ সোচ্চার হন না। তবে স¤প্রতি একটি গণমাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রির সিন্ডিকেটের বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন অভিনেত্রী আয়েশা মুক্তি। তিনি বলেছেন, আগে আমি বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু ইদানিং সিন্ডিকেটের মুখোমুখি হচ্ছি। সিন্ডিকেটের বাইরে কাস্টিং হতে গেলে সমস্যা হয়ে যায়। এটা নিয়ে তারা কলকাঠি নাড়ে। কতটা ট্যালেন্ট সেটা গুরুত্ব পাচ্ছে না, কতটা সম্পর্ক দিয়ে কনভিন্স করতে পারেন সেটা গুরুত্ব পাচ্ছে।
আয়েশা মুক্তি আরও বলেছেন, ‘শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক সব জায়গাতেই সিন্ডিকেট আছে। নাম জানাতে চাই না। তবে আমি বলবো, যারা ইনসিকিউর তারা সিন্ডিকেট বা গ্রুপিং করে। সিন্ডিকেটের কাজ হচ্ছে এর সঙ্গে কাজ করা যাবে, ওকে নেয়া যাবে না; প্রচুর সমস্যা এটা। আমি নিজে কখনই সিন্ডিকেট গ্রুপিং করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। তবে আমি ভুক্তভোগী। আমাদের শুরুর সময়টা এই বিষয়গুলো ছিল না। কিন্তু এখন বিরাজ করছে।’ রঙের মানুষ মেগা সিরিয়ালে দিলখুশ চরিত্রে সাবলীল অভিনয় করে নাট্যাভিনেত্রী হিসেবে প্রবল জনপ্রিয়তা পান মুক্তি। আরও অসংখ্য নাটকে অসাধারণ অভিনয় করে ২০০৬ সালে চলচ্চিত্রের নায়িকা হন তিনি। অভিনয় করেছেন ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ ও ‘জোর করে ভালোবাসা যায় না।’