সমীরণ রায়: [২] সম্প্রতি তৃতীয় দফা পৌরসভা নর্বাচন শেষ হয়ে। সামনে চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় নির্বাচন। এ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা বিদ্রোহী প্রাথীদের আস্কারা দিয়েছেন বা ভবিষ্যতে দেবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের হাইকমাণ্ড। ফলে বাদ পড়বেন না দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীসহ এমপিরাও।
[৩] দলের শীর্ষ নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পৌরসভা নির্বাচনে যারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের তালিকা করে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকমান্ডের নির্দেশে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৮টি টিম সারা দেশে বিদ্রোহীদের মদতদাতাদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা যাচাই বাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্ত এমপিদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে না। তবে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থাকবে।
[৪] আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্য বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি গণভবনে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় শেখ হাসিনা যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহীদের মদদ দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিদ্রোহী ও তাদের মদতদাতাদের ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন।
[৫] আওয়ামী লীগের এক সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত থাকায় জেলা আওয়ামী লীগের চার শীর্ষ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
[৬] প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরেছেন নৌকার ৯ প্রার্থী। তৃতীয় ধাপে দেশে ৬২টি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ৪৫টিতে। এরমধ্যে ১৩টি পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, মন্ত্রিসভার কয়েক জন সদস্য, স্থানীয় এমপি ও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা বিদ্রোহীদের মদত দিয়েছেন।