নূর মোহাম্মদ: [২] নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগগুলো হলো-প্রশিক্ষণ বাজেটের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, নিয়ম বহির্ভূতভাবে কমিশনারদের গাড়ি ব্যবহার, ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারে গুরুতর অনিয়ম, বিভিন্ন নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে নির্লিপ্ততা ও ব্যর্থতা, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতা এবং বিশেষ বক্তা দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নেওয়া।
[৩] সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা তাদের আবেদনে বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অভিনব কৌশলে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিজেরা লাভবান হওয়ার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সাংবিধানিক পদে থেকে এসব গুরুতর অনিয়ম অভিশংসনযোগ্য অপরাধ। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগ সমূহের সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। সংবিধানের ১১৮ (৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তদন্তের মাধ্যমে কমিশনারদের অপসারণ দরকার।
[৪] আইনজীবীরা আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনে নৈতিক ও সাংবিধানিক ভিত্তি হারিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সুরাহা না হলে সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও পদের প্রতি জনসাধানের আস্থা-বিশ্বাস নষ্ট হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনও কলঙ্কিত হবে। এছাড়া তদন্ত চলাকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রেখে অন্য কোন কমিশনারকে দায়িত্ব দিতে দাবি জানানো হয় আবেদনে।
[৫] আবেদনের শুরুতেই সাক্ষর করেন সুপ্রিম বারের সাবেক সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, এখানে অনেক আওয়ামী পন্থি আইনজীবীও সাক্ষর করেছেন।
[৬] এর আগে নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে দুইদফা চিঠি দেন দেশের বিশিষ্ট ৪২ নাগরিক।