আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফল কিংবা মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের বিকল্প যেকোন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সব সরকারি কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের নেতাদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, শান্তি এবং উন্নয়নের প্রতি বার্মার জনগণের আকাঙ্খাকে সমর্থন করে। সামরিক বাহিনীর তাদের পদক্ষেপ থেকে এখনি সরে আসা উচিত। নাহলে যে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করবে তার দেশ। রয়টার্স
[৩] অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী মারিজ পেইনি বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন মেনে চলতে, আইনি প্রক্রিয়ায় চলমান দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তিতে এবং বেসামরিক সব নেতা ও অন্য যাদের বেআইনিভাবে আটক করা হয়ে সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সামরিক বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ এবিসি
[৪] ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারে যা ঘটছে তা আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে দেখছি। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়ার প্রতি ভারতের সমর্থন সব সময়ই অবিচল ছিল। আমরা বিশ্বাস করি যে আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত থাকবে। আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
[৫] জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কাসুনোবু কাটো বলেছেন, জাপান বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের সমস্যার সমাধান করা উচিত।
[৬] এই ঘটনায় জোরালো ভাবেই নিন্দা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল। তার মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন।
[৭] মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন সিফটন বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক জান্তা যারা কয়েক দশক ধরে দেশটিকে শাসন করেছে তারা কখনোই আসলে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়নি।’
[৮] মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান লক্ষ্য করার কথা জানিয়ে দেশটিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে চীন।