তাপসী রাবেয়া: [২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের টিকাদান কর্মসূচী নিয়ে জরিপে দেখা যাচ্ছে আগ্রহী আরও ৫২ শতাংশ এমূহুর্তেই টিকা নিতে রাজী নন। তারা কয়েক সপ্তাহ বা মাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেবেন। ঢাকা সিটিতে টিকা নিতে ইচ্ছুকদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি।
[৩] জরিপ প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ জানান, টিকাদান কর্মসূচী নিয়ে আমরা সরকারকে তিনটি পরামর্শ দিয়েছি। প্রথমত, জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রচারণা। সেক্ষেত্রে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে প্রচারণা চালালে কার্যকর হবে। শুধুমাত্র রেডিও, টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচারণা হলে হবে না, জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। নীতিনির্ধারকদের আগে টিকা নিতে হবে।
[৪] দলটির অন্যতম সদস্য ড. শাফিউন নাহিন শিমুল বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৩,৫০০ জনের ওপর জরিপে এ ফলাফল পাওয়া গেছে। এই জরিপের আগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় উঠে এসেছিলো যে অন্তত ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকাদানে আগ্রহী।
[৫] শহরের চেয়ে গ্রামে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহার কম এবং সে কারণে গুজব ও নেতিবাচক প্রচারণাও সেখানে তুলনামূলক কম বলেই গ্রামের মানুষের মধ্যে টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ বেশি বলে মনে করছেন তারা।
[৬] দেশের আট বিভাগের আটটি জেলা ও ষোলটি উপজেলায়, এবং ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরেশনে জনসমাগম বেশি এমন জায়গাগুলোতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের মাঝের জরিপের তথ্য, ১৬ শতাংশ মানুষ কখনোই টিকা নিতে চাননা। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু
আপনার মতামত লিখুন :