সুজিৎ নন্দী: [২] অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুবিধা, ব্যাংকঋণে সুদের হার হ্রাস পাওয়ার কারণে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে, ফ্ল্যাট বিক্রিতে গতি এসেছে। তবে সব আবাসন প্রতিষ্ঠানের ফ্ল্যাটই যে বিক্রি হচ্ছে, তা নয়। তারপরও ক্রেতাদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ব্যবসায়ীরা।
[৩] করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ক্রেতারা ফ্ল্যাটের খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাতে অনেক আবাসন প্রতিষ্ঠানের ফ্ল্যাট বিক্রি বেড়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে করোনার আগে যে বিক্রি ছিল, গত দেড় মাসে তার কাছাকাছি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে। অনেকের বিক্রি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ২০-৩০ শতাংশ কম। তবে বিক্রি শুরু হওয়ায় নতুন প্রকল্পও নিতে শুরু করেছে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো।
[৪] আবাসন খাতের একাধিক প্রতিষ্ঠান জানান, ফ্ল্যাটের বিক্রি বেড়েছে। অনেক ক্রেতা ফ্ল্যাট কেনার জন্য খোঁজখবর নিচ্ছেন। অনেকটা স্বাভাবিক সময়ের মতোই বিক্রি হচ্ছে তাদের।
[৫] রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, আমাদের সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বিক্রি বৃদ্ধির তথ্য পাচ্ছি। বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সব মিলিয়ে আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
[৬] দেশের শীর্ষস্থানীয় একাধিক প্রতিষ্টান স্বাভাবিক সময়ে ৪০-৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। গত মাসেও ৪৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাট বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রস্তুত ও নির্মাণাধীন সব প্রকল্পের ফ্ল্যাটই বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
[৭] রিহ্যাব সূত্র জানায়, মহাখালী, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল ও দিলকুশার বাণিজ্যিক এলাকার পাশাপাশি উত্তরা মডেল টাউন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, কারওয়ান বাজার, বিজয়নগর, নিকুঞ্জ, ওয়ারী, সেগুনবাগিচা এবং চট্টগ্রামের খুলশী, আগ্রাবাদ, নাছিরাবাদ এলাকায় চাহিদা বেড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :