সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, করোনার শঙ্কা কাটিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো সন্তোষজনক। তবে নির্বাচনে সরকারি ছুটি ঘোষণা না করায় এবং গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোটার উপস্থিতি প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে।
[৩] তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর ইভিএম মেশিন ভাঙ্গা ও কেন্দ্র দখলসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। যা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। বরাবরের মতো বিএনপি ভোটের মাঠে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। তার দায় ভার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি।
[৪] তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রথম থেকেই বিএনপির প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা নির্বাচনী মাঠে যে সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে, তা তাদের আমলেও পায়নি। তারা সব কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তাদের সেই সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। তারা দুর্বলতা ঢাকতে গণরায়কে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।
[৫] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, চসিক নির্বাচনে জনগণ কখনোই বিএনপির পক্ষে সমর্থন দেয়নি। এমনকি তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখনও আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জয়ী হয়েছে। শুধু একবার বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুর আলম নির্বচিত হয়েছেন। মূলত রাজনৈতিকভাবে তিনি আওয়ামী মতাদর্শের মানুষ। তারা ভোটের রাজনীতিতে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মঞ্জুর আলমকে প্রার্থী করেছিলো।
[৬] তিনি বলেন, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার লক্ষ্যে নিরাপত্তার জন্য ১৮ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিলো। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ সব ভোটার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান কাদের।
[৭] বুধবার তাঁর বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :