শিরোনাম
◈ নিউইয়র্কে জোহরান মামদানির জয়: কেন ক্ষুব্ধ মোদি সমর্থকেরা? আল–জাজিরার প্রতিবেদন ◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২১, ০৬:৫৪ সকাল
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২১, ০৬:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিষবৃক্ষ তামাক ছেড়ে আলু চাষে ঝুঁকছে কৃষক

ডেস্ক রিপোর্ট: বিষবৃক্ষ তামাক চাষের পরিবর্তে এবার আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন লালমনিরহাটের কৃষকরা।

লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন বিষবৃক্ষ তামাক চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

জানা গেছে, জেলার ৪২টি ইউনিয়ন, ২টি পৌরসভা মিলে গত বছর তামাক চাষ হয়েছিল ৮ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে। এ বছর তা কমে তামাক চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে।

তামাক চাষে পরিশ্রম ও খরচ বেশি হওয়ায় বিগত কয়েক বছরে লাভের মুখ দেখতে পায়নি কৃষক, গুনতে হয়েছে লোকসান। তামাকসহ অন্যান্য রবি ফসলের চেয়ে আলু চাষ করে বিগত কয়েক বছরের তামাক চাষে লোকসান পুষিয়ে লাভের আশায় আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকেরা।

চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৪ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে আলু চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে। চারদিকে শুধু আলু ক্ষেতের সমারোহ। মাঠের পর মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে আলু গাছের সবুজের সমারোহ।

কৃষি অফিসের পরামর্শে অধিক ফলনশীল জাতের কাটিনা, ডায়মন্ড, উপশি ও স্থানীয় জাতের আলু চাষ করা হচ্ছে। যদিও এখনো পুরোদমে আলু তোলা শুরু হয়নি।

চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম থাকায় প্রতি হেক্টর জমিতে ২০ থেকে ৩০ টন আলুর ফলন পাবেন বলে আশা করছে কৃষকেরা। এ বছর পাকরি, ফাঁটা পাকরি, দেশি হাগরাই, ললিতা, কার্ডিনাল, ডায়মন্ডসহ বিভিন্ন জাতের আলু আবাদ করা হচ্ছে।

বর্তমান বাজারে আলুর চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় চাষিরা কয়েক দফা বন্যায় আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন।

কাশিয়াবাড়ী এলাকার কৃষক ইমতিয়াজ আলম বলেন, বিগত কয়েক বছরে তামাক চাষ করে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর লোকসান গুনতে চাইনা।

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর বন্যার পর নদীর তীরবর্তী জমি গুলোতে আলু, ভুট্টা, সরিষা ও বাদামের ফলন খুব ভালো হয়। এবারো ৭ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আলুর গাছ দেখে বাম্পার ফলন হবে বলে  আশা করছি।

আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউপির কৃষক আলু চাষি ফজল বলেন, কয়েকদফা বন্যায় আমন ধানসহ আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, তবে এবারেও আলুর গাছ আমাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আলুর বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে যাবে বলে আশা করছি।

কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষক মুক্তার হোসেন জানান, আগাম জাতের আলু বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি বিঘা আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ আরো ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ৭০ থেকে ৮০ মণ আলু পাওয়ার আশা করছেন। পাইকারি বাজারে প্রতিমণ আলো বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা।

জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকেরা কয়েকদফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষকরা যাতে রবি শস্য চাষ করে ভাল ফলন পায় এজন্য জেলা ও উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বল্প খরচে ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। কৃষি অফিসের তৎপরতায় কৃষকদের আগাম প্রস্তুতির কারণে ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড শীতে আলু ক্ষেতের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। সব মিলে এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।ডেইলি বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়