মনিরুল ইসলাম:[২] জাতীয় সংসদে বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই এসএসসি, এইচএসসি এবং সমমানের ফল প্রকাশে পৃথক তিনটি আইন সংশোধনের প্রস্তাব সর্ম্পকিত বিল পাসের আজ রোববার আইন প্রনয়ন কার্যত্রুম চলছে। ২ দিন বিরতির রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকালে মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়েছে। স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। সংসদে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত রয়েছেন।
[৩] শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি 'ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১,বিল পাসের প্রস্তাব করেন। এরপর এই বিলের ওপর বিরোধী দলীয় সদস্যদের আনীত জনমত যাচাই ও বাছাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চলছে। বিরোধী দলীয় সদস্য বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, এই বিল পাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অটো পাস দেওয়া হবে। এতে ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল- ২০২১ সংসদে উত্থাপন করেন।
[৫] ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন বিলটি একদিনের মধ্যে এবং বাকি দুটি দুই দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
[৬] বৃহস্পতিবার সংসদে উত্থাপিত বিল ৩টি পাসের সুপারিশ করে সংসদে রিপোর্ট উত্থাপন করেছে সংসদীয় কমিটি।
[৭] বৃহস্পতিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে প্রতিবেদন তিনটি উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ ও ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল- ২০২১’ পাসের জন্য কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মত সুপারিশ করা হয়েছে বলে সংসদকে জানান।
[৮] ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সরকার পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়নের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমান শ্রেণির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়।৷ এক্ষেত্রে জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এইচএসসির ফল নির্ধারণ করার ঘোষণা দেয় সরকার।
[৯] পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশে আইনগত জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। পরে সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় এবং মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদে তা তোলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :