শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০২১, ০৬:৫৪ সকাল
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০২১, ০৬:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের নিমন্ত্রণ নিয়ে নানা বিতর্ক

ইমরুল শাহেদ: বিষয়টা সামনে টেনে নিয়ে এসেছেন সূচন্দা ও ববিতা। একজন আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন ২০১৮ সালে এবং আরেকজন পেয়েছেন ২০১৯ সালে। বিশ্বের সেরা ১১ জন চলচ্চিত্রকারের একজন সত্যজিৎ রায়। তার অশনি সংকেত ছবিতে বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনবদ্য সৃষ্টি অনঙ্গ বৌ চরিত্রে অভিনয় করে ববিতা পেয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি। এছাড়া ঢাকার চলচ্চিত্রে যে তিনজন সংগ্রামী নারীকে চিত্রিত করা হয়েছে ববিতার গোলাপী চরিত্রটি তার একটি। এমনি রয়েছে আরও অনেক ছবি।

এদেশের চলচ্চিত্রে তার অবদান অপরিমেয়। সূচন্দা-ববিতার ছোটবোন চম্পাও তার চাইতে কম যান না। তিনি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ‘লাল দরজা’ এবং সত্যজিৎ তনয় স›দ্বীপ রায়ের ‘টার্গেট’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। এছাড়া চম্পা অভিনয় করেছেন পদ্মানদীর মাঝি ছবিতে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একই নামের উপন্যাসটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন গৌতম ঘোষ। এ ছবিতে মালা চরিত্রে অভিনয় করেছেন চম্পা। আর সূচন্দা ছিলেন চলচ্চিত্রের গোড়াপত্তন কালের নায়িকা। তাকে উর্দু ছবির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ পেশায় টিকে থাকতে হয়েছে। তারপরও তার ক্যারিয়ারে ভাস্বর হয়ে আছে ‘বেহুলা’ ছবিটি। নাম ভূমিকায় তিনি অভিনয় করেছেন।

এভাবে তারা হয়ে উঠেছেন জাতীয় সম্পদ। অথচ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ববিতা এবং চম্পাই নিমন্ত্রণ কার্ড পাননি। সূচন্দা নিমন্ত্রণ পেয়েছেন। কারণ তাকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে আজীবন সম্মাননার পুরস্কার গ্রহণের জন্য। কিন্তু তার বাইপাস সার্জারি হওয়ার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে তার দুই সন্তানকে পাঠিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য নিমন্ত্রণ কার্ড পান কারা? জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত মানুষগুলোকে শুভেচ্ছা জানাতে কারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। চলচ্চিত্রের মানুষগুলোই অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসব জাতীয় সম্পদ তৈরি করেন। অথচ তারাই নিমন্ত্রণ পান না। যেসব ছবির জন্য শিল্পী-কুশলীরা পুরস্কৃত হয়েছেন, সে সব ছবির ইউনিটের সকলেই তো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের দাবি রাখেন। তাদেরকে কি নিমন্ত্রণ করা হয়? এসব বিষয়ে আগামীতে সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়াটাই সমীচীন হবে। তাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মর্যাদা বাড়বে বৈ কমবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়