শাহীন খন্দকার: [২] মাঘের শুরু থেকেই কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ঘর থেকে বের হলেই কনকনে বাতাস যেন শরীরে আঁচড় কাটছে। শীতের সঙ্গে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠাণ্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিশুরা।
[৩] ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে শিশু ও নবজাতক রোগীর সংখ্যা বাড়েছে। শেরে বাংলা নগর শ্যামলী শিশু হাসপাতালে চাপ বেড়েছে শিশু রোগীদের। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। পরিচালক জানান, শীত বাড়ায় রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
[৪] পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ বলছেন, শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বাড়ে। এ কারণে ভাইরাসজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলে ঠাণ্ডা জনিত সমস্যাও বাড়বে।
[৫]আরও বলেন, শীতে কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে শিশুরা হাসপাতালে আসছে। ফলে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডেও রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাদের যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। এখন নিপাহ ভাইরাসের সময়, তাই শর্তক থাকতে হবে।
[৬] বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে মোহম্মদপুর ফার্টিলার্টি সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেণ্টার ১০০শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মুনীরুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, হাসপাতালে শিশু ও নবজাতক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
[৭] তিনি বলেন, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শিশুদের বিভিন্ন রোগ। অনেক বাবা-মা সর্দি, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে আসছেন বলে জানালেন।শিশুসহ সবার খেজুরের রস ও পাখির আংশিক খাওয়া ফল থেকে বিরত থাকার কথা বললেন, ডা. মো. মুনীরুজ্জামান সিদ্দিকী