কামরুল হাসান মামুন : পারেতোর ল অনুসারে একটি দেশের ৮০ শতাংশ ভালো কাজগুলো করে সেই দেশের ২০ শতাংশ ভালো মানুষ। গণতন্ত্রের স্বর্ণযুগে এই ২০ শতাংশ ভালো মানুষগুলোই নেতৃত্বে ছিলো। অবস্থা পাল্টেছে। গণতন্ত্র মানেই হলো সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। ৮০ শতাংশ খারাপরা বুঝতে পারলো তারা যদি দলবদ্ধ হতে পারে তাহলে ২০ শতাংশ ভালোরা পাত্তাই পাবে না। ভোটের খেলায় এই কাজটি খুব সহজ। দেশে দেশে এখন এটাই ঘটছে। খোদ আমেরিকাতে এখন এটাই ঘটছে। আর বাংলাদেশেতো এটা অনেক আগেই ঘটে গেছে। মোটাদাগে বলা যায় গত ৩০ বছর যাবৎ বাংলাদেশ শাসিত হচ্ছে সেই ৮০ শতাংশ খারাপদের দ্বারা। তারা রাজনীতি, প্রশাসন এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও দখল করে ফেলেছে। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তখন জেনেছি আমাদের বিভাগের সব ভালো শিক্ষকেরা বা তাদের শিক্ষকেরা আবাসিক হলের ভিপি বা হল সংসদের নানা নেতৃত্বে ছিলো।
আমাদের সময় অল্পস্বল্প পেয়েছি। আর এখনতো পুরো ছাত্র নেতৃত্ব চলে গেছে খারাপ ছাত্রদের হাতে। এখন নেতা হতে হলে শুধু খারাপ ছাত্রই না অন্যান্য ভালো কাজেও খারাপ হতে হবে। মোটাদাগে এটাই এখন মানুষের পার্সেপশন। একই কথা খাটে বুড়োদের নেতৃত্বে। না হলে ইয়াবা ব্যবসায়ী, ব্যাংক লুটকারী, ধান্ধাবাজ, অর্থপাচারকারী কিভাবে নির্বাচিত হয়? সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার মানেই যেন একেকজন সন্ত্রাসী। এমনকি এমপি মানেই যেন জমি দখলকারী, সন্ত্রাসী পালনকারী। আসলে কোনো সিস্টেম যদি সময়ের সঙ্গে বিবর্তিত না হয়ে বছরের পর বছর অপরিবর্তিত থাকে তখন এর দুর্বলতাগুলো মানুষ টের পেয়ে যায়। খারাপ মানুষগুলো সহজেই সেই সুযোগ নেয়। উচিত ছিলো গণতন্ত্রের বিধিনিষেধগুলো অনবরত পরিবর্তন করা। বিবর্তন ছাড়া কোনো কিছুই টিকে থাকতে পারে না। সমাজতন্ত্র টিকতে পারেনি কারণ এর বিবর্তন ঘটেনি। সবাই সমাজতন্ত্রকে বেদবাক্য ধরে religiously মেনে চলতে চাচ্ছিলো। ফেসবুক থেকে