মোঃ ইউসুফ মিয়া : [২] দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার দিনগত রাত ১টা থেকে রোববার ভোর ৫ টা পর্ষন্ত ও ২য় দফা সকাল ৬ টা থেকে পৌনে ১০টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
[৩] দীর্ঘ প্রায় ৯ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় পাড়ে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।
[৪] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে নদী এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত বারার সাথে সাথে কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাত ১ টার দিকে নৌপথ কুয়াশার চাদরে ঢেকে ফেলে। এ পরিস্থিতিতে রাত ১ টার দিকে কতৃপক্ষ যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন।
[৫] গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় নদীর শীতল বাতাসের মধ্যে সারা রাত আটকে থাকায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে শিশু ও মহিলারা।
[৬] যশোর থেকে ছেড়ে আসা জেআর পরিবহনের যাত্রী মোঃ কাউসার আহম্মেদ বলেন, রাত ২ টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌছেছি। এসে শুনি ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘাট এলাকায় রাত থেকে এখন পর্যন্ত আটকে থেকে মহা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি। পাবলিক টয়লেট না থাকায় চরম ভোগান্তির পোহাতে হচ্ছে।
[৭] জিকড়গাছা থেকে কাচা পন্য বোঝাই ট্রাক ড্রাইভার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুয়াশার মধ্যে ঘাটে ফেরি চলাচল না করায় আটকে পড়েছি। শীতে রাতে প্রচুর কষ্ট হয়েছে। কখন ঢাকায় মাল নিয়ে পৌঁছাবো তা বলতে পারছি না।
[৮] বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহ ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুব হোসেন ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দূর্ভোগ কমাতে আটকে থাকা যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পার করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :