লিহান লিমা: [২] জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ১৫০টি গবেষণার প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মেক্সিকোর ১৭জন বিজ্ঞানী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র ক্রমেই হ্রাস পাওয়া এই বিশ্বের বসবাসকৃত প্রতিটি প্রাণীর টিকে থাকার জন্যই হুমকি হবে। গার্ডিয়ান/সিএনএন
[৩]তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পূর্বে যা ধারণা করা হয়েছিলো তার চেয়েও অনেক ভয়াবহ ভবিষ্যত বিশ্ববাসীর জন্য অপেক্ষা করছে। এটি নাগরিক ও বিজ্ঞানীদের বর্তমান সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ধারণার চেয়েও অনেক ভয়ানক।
[৪]ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও স্থিতিশীলতা বিভাগের অধ্যাপক ড্যানিয়েল ব্লুমস্টেইন বলেন, ‘আমাদের সভ্যতার ঝুঁকির সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা কোনো বাহুল্য নয়। মানুষ হয়তো বিষয়টি ধারণা করতে পারছে, কিন্তু এর জরুরি অবস্থা বুঝতে পারছে না, কেউ কেউ বিষয়টি বুঝতে পারলেও তারা ব্যক্তিগতভাবে কিছু করতে রাজি নয়।’
[৫]২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থা জানিয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য অন্যতম হুমকি জীববৈচিত্র হ্রাস। ২০১৯ সালে আইপিবিইএস এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষ পরিবর্তন করে ফেলেছে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড অব ন্যাচারের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রাণী গড়ে ৬৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, এই বিধ্বংসী বিলুপ্তির জন্য দায়ী মানুষের ভোগ বিলাস।
[৬]বিজ্ঞানীরা বলেন, বর্তমানে বিশ্বে ভবিষ্যতে গণবিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা ৬টি প্রাণীর মধ্যে রয়েছে মানুষও। আমরা বলছি না এই অবস্থায় হাল ছেড়ে দিতে। কিন্তু এমন অবস্থার প্রেক্ষিতেও বিশ্বনেতারা বিষয়টিকে অবহেলা করছেন। তাদের ভূমিকা অত্যন্ত নির্জীব। যা প্রলয়ংকারী বিপর্যয় ডেকে আনবে। জরুরি অবস্থা গ্রহণ না করলে আরো বেশি মহামারী ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিবাসন সংকট বিশ্বের জন্য অবশ্যম্ভাবী।