সমীরণ রায়: [২] শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৭৯ জন। নিহতের মধ্যে ৮৭১ জন নারী ও ৬৪৯ জন শিশু। বছরব্যাপী ১১৯ টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২৭২ জন নিহত ও ১৩৭ জন আহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ৬২ জন। আর ১০৮ টি রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহত ২২৮ জন এবং আহত ৫৪ জন।
[৩] এতে বলা হয়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিহত ১৪৬৩ জন। নিহতদের মধ্যে ১৫১২ জন পথচারী। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৮৩ জন। দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৮১১টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৬০৫টি আঞ্চলিক সড়কে, ৬১৭টি গ্রামীণ সড়কে, ৬৪৪টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৫৮টি সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১১১৪টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২৫৫টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৫৭৩টি পথচারীকে চাপা/ ধাক্কা দেওয়া, ৭০৯টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৮৪টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
[৪] ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। পরিবহন খাতের এই নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ রাজনীতির ধারাবাহিক চর্চার কারণে গড়ে উঠেছে। তবে প্রধান ও উৎস কারণ-দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির তথাকথিত রাজনীতি।