শিরোনাম
◈ প্রকাশ্যে নৃশংস খুনের বৃদ্ধিতে জনমনে আতঙ্ক: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের দাপটে বাড়ছে টার্গেট কিলিং ◈ রাজ‌নৈ‌তিক অঙ্গ‌ণে জল্পনা কল্পনা, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দে‌শের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে? ◈ ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা, শৃঙ্খলা–ঐক্য থাকলে সবই সম্ভব: তারেক রহমান ◈ সাভারে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কারখানায় লুটের চেষ্টার অভিযোগ ◈ যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ ◈ গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে ট্রাম্পের পরিকল্পনা জাতিসংঘে পাস, হামা‌সের প্রত‌্যাখান ◈ আড়াই বছর পর ক‌্যাম্প ন‌্যু‌য়ে ফিরে বার্সেলোনা শ‌নিবার ম‌্যাচ খেল‌বে ◈ বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা মানছেন না নির্বাচনী আচরণবিধি, কঠোর হওয়ার পরামর্শ ◈ সাংবাদিক খাশোগি ‘অত্যন্ত বিতর্কিত’ ছিলেন, সৌদি যুবরাজের পক্ষে দাবি ট্রাম্পের  ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড: শেখ হাসিনার রায় কীভাবে কার্যকর হবে

প্রকাশিত : ০৮ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৪৫ সকাল
আপডেট : ০৮ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শওগাত আলী সাগর : ট্রাম্প সমর্থকদের কংগ্রেস ভবনে নজিরবিহীন তাণ্ডব : এটা কি আসলেই আমেরিকার গণতন্ত্রের সমস্যা?

শওগাত আলী সাগর : [১] ‘সংসদের ভেতরে বাইরে-আন্দোলন’- টাইপের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে ইলেক্টোরাল কলেজের কার্যক্রমকে ব্যহত এবং দীর্ঘায়িত করা আর বাইরে বিক্ষোভ। নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকেপক্ষে টানতে না পারলেও ভেতরে ঝামেলা পাকানোর লোক পেতে তার সমস্যা হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভেতরের আন্দোলনের চেয়ে বাইরের আন্দোলনটাই মুখ্য হয়ে ওঠে ট্রাম্প সমর্থকদের কাছে। বাইরের জনতা নিরাপত্তা বলয় ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডবের জন্ম দেয়। বুধবারের সন্ধ্যায় আমেরিকায় যা ঘটেছে তার বিবরণ এখন সবার নখদর্পনে। বিভিন্ন মিডিয়া নানাভাবে এর বিবরণ প্রচার করে যাচ্ছে।

[২] অনেকেই বুধবারের ঘটনাটাকে আমেরিকার গণতন্ত্রের সমস্যা হিসেবে দেখার চেষ্টা করছেন। ‘গণতন্ত্র আক্রান্ত’- এমন কথাও অনেকে বলছেন। কিন্তু আসলেই কি এটা আমেরিকার গণতন্ত্রের সমস্যা? আর কিছুই কি নেই? কানাডার টরন্টো স্টারের সাংবাদিক আলেক্স ম্যাককিনের পর্যালোচনার মধ্যে আমি নিজে এর একটা উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি। ক্যাপিটল বিল্ডিং এর বারান্দায় অস্ত্রের ঝনঝনানী, হল রুমে ফেডারেশনের পতাকা উড়িয়ে দেয়ার দৃশ্যের চেয়েও আলেক্সের দৃষ্টি কেড়েছে টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিও। ভিডিওটি পোস্ট করেছেন করেছেন ট্রাম্প সমর্থক একজন সাংবাদিক। সেই ভিডিওতে বিশেষ কিছু যে আছে তেমন নয়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে পুলিশকে ঠেলে উদ্যতভঙ্গিতে সাংবাদিক সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিক যতোই এগিয়ে যাচ্ছেন অফিসারটি ততোই পিছিয়ে যাচ্ছে। সামনে এগোতে এগোতে উদ্যত ভঙ্গিতে সাংবাদিকটি বলে উঠেন- ‘দিস ইজ আওয়ার আমেরিকা।’

[৩] ‘দিস ইজ আওয়ার আমেরিকা’- এই ঘোষনাটির মধ্যেই আলেক্স বুধবারের সকল ঘটনাপ্রবাহের ব্যাখ্যা খুঁজতে চাচ্ছেন আলেক্স। আমি তার সাথে দ্বিমত করার কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। আলেক্সের ব্যাখ্যা, বুধবারের সন্ধ্যায় আমেরিকায় যারা বিশৃঙ্খল আচরণ করেছেন- তারা আসলে এই মতবাদেরই ধারক-বাহক। ‘আওয়ার আমেরিকা’র আদর্শে বিশ্বাসীরা তাদের আমেরিকাকে রক্ষার জন্য এভাবে উশৃংখলতা দেখিয়েছে।

[৪] বিকেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বক্তৃতাটা দেন- সেখানেও কিন্তু এই আদর্শের কথাই আছে। ‘ট্রু প্যাট্রিয়ট’ ট্রু ‘আমেরিকানদের’ জেগে উঠার ডাক দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই ডাকে ‘আ্ওয়ার আমেরিকার’ আদর্শধারীরা মারদাঙ্গা হয়ে নমে এসেছে। [৫] ট্রাম্পকে ঘিরে ‘দিস ইজ আওয়ার আমেরিকা’ বোধের যে বিস্তার ‘ট্রু আমেরিকানদের’ মনের ভেতর ঢুকেছে, সেটিকে কেবলমাত্র গণতন্ত্রের সংকট বা ট্রাম্পের ক্ষমতালোভ হিসেবে দেখলে সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হবে বলে আমার ধারণা। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়