দেবদুলাল মুন্না: [২] যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ট্রাম্প যদিও বলেছেন যে যা হওয়ার হয়েছে তিনি এরপর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন কিন্তু তবু তাকে নিয়ে শঙ্কা রয়ে যায়। কারণ ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহ কী ধরনের আচরণ করবেন, গণতন্ত্রের ওপরে সহিংস হামলার যে পথ তিনি উন্মুক্ত করেছেন, এতে তার উদ্দেশ্য ভালো নয়।
[৩] তিনি মনে করেন, বুধবার সমাবেশ ডেকে ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের উসকানি দিয়েছেন। যখন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁকে আহ্বান জানান এখনই তাঁর সমর্থকদের শান্ত করতে এবং এমনকি রিপাবলিকান পার্টির ভেতর থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে, তখন তিনি একটি ভিডিও বার্তা দেন। কিন্তু তাতেও তিনি হামলাকারীদের নিন্দা না করে তাঁদের দেশপ্রেমিক বলে বর্ণনা করেন। ফলে তিনি যে কোনো সময় সুযোগ পেলে আবার কোনো অঘটন ঘটাতে পারেন।
[৪] তিনি বলেন, ট্রাম্পের সমর্থক এবং রিপাবলিকান পার্টির একাংশ এই ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রাখবে, যদিও দলের একাংশের মধ্যে এখন সামান্য হলেও বোধোদয় হয়েছে। এটা সত্যি যে বাইডেনই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
[৫] তিনি মনে করেন,এ দায় একা ট্রাম্পের নয়। রিপাবলিকান পার্টির যেসব নেতা বিগত সময়ে তাকে এই আচরণ করতে সাহায্য করেছেন, তাকে দায়মুক্তি দিয়েছেন, এই অবস্থার দায় তাদেরও। বুধবার যা হওয়ার কথা ছিল, সত্যায়নের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।