লিহান লিমা: [২] চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে গত জুনে আরোপিত বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনে এ পর্যন্ত অন্তত ৫০হন গণতন্ত্রপন্থী অধিকারকর্মী ও রাজনীতিবিদ গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের ক্ষমতা ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস’ এর অভিযোগ আনা হয়। বিবিসি/আল জাজিরা
[৩] গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টি ও সিভিক পার্টির জনপ্রিয় বিরোধী দলীয় নেতা জেমস তো, লাম চুক তিং ও লেস্তার সুম। এছাড়াও গ্রেপ্তার হওয়া গণতন্ত্রপন্থী অধিকার কর্মী জোশুয়া অংয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
[৪]হংকংয়ের ডেমোক্রেট পার্টির ফেসবুক পেজে বলা হয়, দেশটির সর্বোচ্চ পরিষদ লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের নির্বাচনের জন্য স্বাধীন প্রার্থী বাছাইয়ে গত বছর ভোটে অংশ নেয়ায় এই কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হংকং প্রশাসন ও বেইজিং বলছে, প্রাথমিক প্রার্থী যাচাইয়ের এই ভোট জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করেছে।
[৫] নতুন লেজিসলেটর নির্বাচনের ভোট গত সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু করোনার ঝুঁকি দেখিয়ে সরকার তা বাতিল করে। লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে মোট সদস্য ৭০জন, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র অর্ধেক সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন, বাকি সদস্য চীন সরকারের পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচিত হন। বিরোধী দলগুলো আশা করছিলো, নির্বাচনে তারা ৩৫টি আসনই লাভ করবেন।
[৬]জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, চীন বিরোধী কার্যকলাপ, ছাত্র-রাজনীতি ও বৈদেশিক শক্তির সঙ্গে আঁতাত নিষিদ্ধ করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত শাস্তির বিধান রাখা হয়। এই আইন তীব্র সমালোচনার শিকার হয়। কারণ আইনের বিষয়বস্তু ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনৈবেশ থেকে পৃথক হওয়ার পর দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত হংকংয়ে গণতন্ত্র ও আধা-স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দেয়া বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন। যুক্তরাষ্ট্র এর প্রতিবাদে হংকংয়ের বিশেষ বাণিজ্যিক মর্যাদা তুলে নেয় ও চীন এবং হংকংয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।