শাহীন খন্দকার: [২] মঙ্গলবার সংস্থাটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে,গত ২০২০ সালে থেকে বাংলাদেশে এতিম শিশুকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্যসহ মৌলিক সকল চাহিদার যোগান দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা কাতার চ্যারিটি।
[৩] বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এতিম শিশুদের তত্ত্বাবধায়ন ছাড়াও গত বছর ৪০টি দরিদ্র পরিবারকে বছরব্যাপী আর্থিক সহায়তা দিয়েছে কাতার চ্যারিটি। পাশাপাশি ১৩৬ জন এতিম ছাত্রকে উচ্চশিক্ষার জন্য স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
[৪] সংস্থাটির বাংলাদেশে ১৫টি স্যোসাল ওয়েলফেয়ার সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার ধামরাই, আশুলিয়া, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, সিলেটের লালমাটিয়ায়, বাগেরহাটের ফকিরহাটে, রাজশাহীর গোদাগাড়ি ও রংপুরের গঙ্গাচড়া। এতিম শিশুদের ভরণ-পোষণ ও তাদের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত বিনির্মাণের জন্য সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিন উদ্যোগে।
[৪] কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশের সোস্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের পরিচালক ড. আব্দুল কাদির বলেন, আমাদের সমাজে অধিকাংশ এতিম শিশুই অবহেলার শিকার হন। দরিদ্র পরিবারগুলোতে এই সমস্যা আরো প্রকট। পরিবারে আর্থিক অনটনের কারণে একটি এতিম শিশুর বেড়ে ওঠাই কঠিন হয়ে পড়ে।
[৫] আরও বলেন, তাদেরও অধিকার রয়েছে সুন্দরভাবে বাঁচার, শিক্ষিত হয়ে সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখার। কাতার চ্যারিটি সেই লক্ষেই এতিম শিশুদের সব ধরনের চাহিদা পূরণে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
[৬] তিনি জানান, কাতার চ্যারিটির অধীনে থাকা বহু এতিম ছেলে-মেয়ে এখন সুশিক্ষিত হয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে। যা এক অনন্য অর্জন। তথ্য কালের কন্ঠ ও নয়াদিগন্ত
আপনার মতামত লিখুন :