শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ০৪ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:৫৯ দুপুর
আপডেট : ০৪ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:৫৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনায় সাভারে গোলাপ গ্রামের চাষিরা ফুল নিয়ে বিপাকে

এম এ হালিম: [২] সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের শ্যামপুর,কমলাপুরসহ আরো কয়েকটি গ্রাম যেন গোলাপের রাজ্য। বাণিজ্যিক বা সখের বসেই হোক না কেন এ গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই যেন গোলাপের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। জানা যায়, ১৯৯০ সালে ঢাকার কয়েকজন যুবক অন্যের জমি লিজ নিয়ে এ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে প্রথম গোলাপ চাষ শুরু করেন। ফলন ভালো আর ওই যুবকদের সফলতা দেখে স্থানীয়রাও ধীরে ধীরে বাণিজ্যিকভাবে গোলাপ চাষ শুরু করেন। খুব কম সময়ের মধ্যে তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গ্রামটিতে।

[৩] কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৫০ হেক্টর জমিতে গোলাপের চাষ হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় বিরুলিয়ার মোস্তাপাড়া, কমলাপুর ও শ্যামপুর এলাকায়। প্রায় দুই শতাধিক চাষি বাণিজ্যিকভাবে এ ফুলের চাষ করে আসছে। ফলন আর চাহিদা ভালো হওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে এ চাষির সংখ্যা। তবে এবার করোনায় গোলাপ চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।একেকজন ফুলচাষীরা বাগানের আকারভেদে ২ থেকে ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতির সন্মুখীন হয়েছেন।

[৪] ফুলের গ্রামটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে, বাড়ির সামনে এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের সব জায়গাতেই গোলাপ চাষ করা হয়েছে। দুপুরের পর প্রতিটি বাগানেই শ্রমিকদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফুল কাটা, ফুল বাছাই, ফুল ভেজানো, ফুল বাঁধা সবই যেন কৃষক শেষ করেন সন্ধ্যের আগে। কারণ সন্ধ্যোর পরই জমে উঠে স্থানীয় ফুলের বাজার। যেখানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ফুলের পাইকাররা এসে ফুল কেনেন।ফুলের বাগানে কথা হয় কৃষক শাহ আলমের সঙ্গে।

[৫] তিনি বলেন, এখানে মেরিন্ডা, হাজারি, লিংকন, পাপা মিলন, বধূয়া বা হলুদ ও সাদা গোলাপের চাষ হয়। তবে বাজারে চাহিদা বেশি লাল মেরিন্ডার। এ গ্রামের ৯০ শতাংশ মানুষেরই প্রধান জীবিকা এই ফুল চাষ।স্থানীয় যুবক গোলাপ চাষী সোহেল জানান, বাবার সঙ্গে তিনি এ ব্যবসার হাল ধরেছেন। ১১০ শতাংশ জায়গায় গোলাপের চাষ করেছেন। তাদের চাষ করা গোলাপ অন্যান্য বছর ঢাকা, চট্টগ্রাম এমনকি দেশের বাইরেও গিয়েছে ।

[৬] ১৬ ডিসেম্বর, ১৪ ফেব্রুয়ারি (ভালোবাসা দিবস), একুশে ফেব্রুয়ারি, পয়লা বৈশাখ, নববর্ষসহ বিশেষ দিনে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুন। দামও পাওয়া যায় ভালো।তবে এবার তারা করোনার কারনে লকডাউন থাকায় ফুল বিক্রি করতে না পারায় বাগানে ফুল নষ্ট হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাছাড়া বিজয় দিবস ও নববর্ষেও ফুলের দাম কম পেয়েছেন সামনে মাতৃভাষা ও বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ফুলের ন্যায্য মূল্যে ও সরকারের কাছে সহজ কিস্তিতে ঋণের আহবান জানান।

[৭] বিরুলিয়া ফুল চাষি সমিতির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাসির জানান,করোনার আগে প্রতিদিন বিরুলিয়ার বাজার গুলোতে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার ফুল বিক্রি হতো কিন্ত এবার সেই বাজার একেবারে অর্ধকেরও কমে নেমে এসেছে।

[৮] সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ বলেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিরুলিয়ার ফুল চাষীদের আমাদের কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন। এছাড়াও উন্নত ফলনের জন্য যা যা করণীয় সব ব্যবস্থাই নেওয়া হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়