রেজা আলী পাটোয়ারী: ‘জঙ্গি’রা যখন ‘ধর্ম’কে ব্যবহার করে তখন প্রতিবাদ করো? তাহলে এখন ‘কমান্ডো’ নিয়ে কেন কথা কহো হে ‘মৌন-জেহাদী’! ভুইল্যাই গ্যাছিলাম- হলি আর্টিজানকে বলছিলা সরকারের বানানো নাটক! ‘বাংলা ভাই’ নিয়া নিজামী কইছিলো ‘মিডিয়ার তৈরি’! হাতে-নাতে ধরা খাওয়ার পর ফাজিলের মতো মন্তব্য করছিলো- ‘সূর্য সেনই প্রথম সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছে’! ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ও ফাঁসি হইছিলো। ‘যুদ্ধোপরাধ’এ ফাঁসি না দিয়া মৃত্যুর প্রহর... এইটায় ফাঁসি দিলে সাঁজাটা আরও পোক্ত হইতো। ২১ অগাস্ট নিয়া খালেদার কথাও তোমরা বিশ্বাস করছিলা। সেখানেও হিজবুত-তাহেরী জড়িত ছিল। এই দুই মামলায় এনএসআই-ডিজিএফআই’র সাথে আইএসআই'এর যোগসূত্র প্রমাণিত।
বাল্যকাল থেইক্যা তোমাদের ‘র’এর গাল-গল্প শুইন্যা বড় হইলাম। এখনও শুনি। প্রবাসে আইস্যাও! ‘উলফা’কে প্যাকেট করা বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ছিল। ভারত থেকে আসার পর যখন তিস্তা পানি নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলো তখন এক ফাঁকে তিনি একটা বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন- ভারতের তরে যা করেছি তা তাঁদের চিরকাল মনে রাখা উচিত। আমি আল্লাহ-আল্লাহ করতেছিলাম যাতে সম্পূরক প্রশ্ন না করে বসে যাতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ দিয়ে ‘উলফা’ শব্দটা বের করতে হয়। ‘উলফা’ এলেই আইএসআই এসে পড়েুসেই চাতুরতা থেকেও অনেকে বোকা সেজেছিলেন! মন্দের ভালো তবে ‘বাফার স্টেট’ নিয়ে একবার এক সাংবাদিক ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশ্ন করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমনিকে যখন আইএসআই-এর প্রভাবমুক্ত হতে তৎবাংলাদেশ সেই সন্ধিক্ষণে। প্রশ্নের ধরনটা এমন ছিল যেন বাংলাদেশ ভারতের বাফার হয়ে যাচ্ছে। মাটি পা না পরা এক সাংবাদিক মহা উদ্বিগ্ন! কেন? আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি বাফার শব্দের অর্থ জানেন না। আমি তাকে বুঝিয়ে বলেছিলাম- তিনি অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন নিজ দেশের একজন সাংবাদিকের কাছে এই প্রশ্ন পেয়ে। সামলে নিয়ে গুছিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন। ক্ষণিকের স্তব্ধতা ওই বিজ্ঞের কাছে অর্থ না জানা পরিস্থিতি মনে হয়েছিলো! তারাই না আবার জঙ্গিদের না দেখাইয়া কীভাবে ‘কমান্ডো’ ছবি বানানো যেতো যাতে ‘অনুভূতি’তে আঘাত লাগতো না সেই তরিকা নিয়া টকশো করে ফেলেন সেই চিন্তায় আছি! ‘মৌন জেহাদি'’তে সয়লাভ সর্বত্র! ফেসবুক থেকে