হ্যাপি আক্তার: [২] মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চ্যানেল আই, বার্তা২৪
[৩] এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আয়েশা খানম ছিলেন একজন সাহসী যোদ্ধা। দেশে নারীর ক্ষমতায়নে তিনি অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি মরহুমা আয়েশা খানম এর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
[৪] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শোক বার্তায় বলেন, এই নারী নেত্রীর মৃত্যুতে দেশের নারী সমাজ একজন অকৃত্রিম বন্ধু ও সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালো। প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
[৫] শুক্রবার রাতে তিনি ঢাকার নিজ বাড়িতে অসুস্থ হলে তাকে রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
[৬] উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের ১৮ অক্টোবর আয়েশা খানম নেত্রকোনা ও দুর্গাপুরের মাঝখানে গাবড়াগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গোলাম আলী খান এবং মা জামাতুন্নেসা খানম। হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের দাবিতে ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক আয়েশার।
তবে ১৯৬৬ সাল থেকে ছাত্র আন্দোলনে পুরোপুরি সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ফলে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের পথে এগিয়ে যেতে যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিল সেসবগুলোতেই তিনি সামনের সারিতে ছিলেন।
১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং সংগ্রামী নেত্রী আয়েশা খানম। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি।
এছাড়া রোকেয়া হলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ঢাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠিত করার দায়িত্ব ছিল মূলত আয়েশা এবং তার সহকর্মী ছাত্র নেতাদের ওপর। এছাড়া ছাত্র নেতা হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাধিকার আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ও সচেতনতার কাজেও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন তিনি।