আসিফুজ্জামান পৃথিল: [৩]সারাবিশ্বে যখন সুপেয় জলের হাহাকার, মিঠা পানির দ্বিতীয় বৃহত্তম রিজার্ভ থাকায় স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ
[৪] জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের বড় পানির রিজার্ভগুলো ক্রমেই শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেক দেশের ভূগর্ভস্থ পানির রিজার্ভ প্রায় শেষ। ভারতে পানির লাইনে উঠে আসছে কাদা, অস্ট্রেলিয়ার দশাও তাই। সৌদি আরবের ‘ওয়াদি’ বলে পরিচিত জলাধারের সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। বৈকাল হ্রদের পানিতে দেখা দিয়েছে দূষণ। আফ্রিকান গ্রেট লেকগুলোর পানি প্রতিবছর কমছে।
[৫] বাংলাদেশে বৃষ্টির অভাব নেই, উজান থেকে আসা পানি বন্ধের সম্ভাবনাও নেই। মেঘনা নদীতে রয়েছে মিঠা পানির রিজার্ভ। হাওড় অঞ্চলে প্রতি বছরই বিশাল রিজার্ভ তৈরি হয়।
[৬] পরিবেশবিদ ড. আতিক রহমান জানান, মজুতের দিক দিয়ে কানাডার পরই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে মৌসুমী অভাব দেখা দেয়, প্রয়োজনের অনেক বেশি পানি প্রবাহিত হয় বর্ষা মৌসুমে। জলাধার তৈরি করে অতিরিক্ত পানি সংরক্ষণ করা জরুরি। আগে এই কাজ করতো বড় দীঘি আর পুকুরগুলো। কিন্তু দখল ও ভরাটের ফলে এসব জলাধারের সংখ্যা ও আয়তন কমে গেছে। সরকারি উদ্যোগেই সারাদেশে বড় বড় অসংখ্য জলাধার তৈরি করতে হবে।
[৭] ড. আতিক বলেন, আমাদের বড় সমস্যা নদী দূষণ। পানির অপচয় আরও একটি বড় সমস্যা। কৃষিতে প্রচুর পানির অপচয় হয়। দূষণ-অপচয় ঠেকিয়ে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করলে পানি খাতে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে অনন্য সম্ভাবনা।
[৮] তবে খানিকটা দ্বিমত পোষণ করছেন নদী বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত। তিনি জানান, বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ পানি আসে প্রতিবেশি দেশ থেকে। এই পানি সম্পদ হলেও তার উপর বাংলাদেশের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ছাড়া তা সুবিধামতো ভোগ করা কঠিন হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব