শিমুল মাহমুদ: [২] অবশেষে রাজধানীর পূর্বাচলে হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল অটিস্টিক একাডেমি। প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. দিদারুল আলম বলেন, আইন জটিলতার কারণে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলাম। আশা করছি স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ আগামী ৪ মাসের মধ্যে শুরু করতে পারবো।
[৩] প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ৩.৩ একর জায়গায় ১৫ তলা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১০তলা আবাসিক ভবন, ৬ তলা বিশিষ্ট ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল, ৫শ আসনবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের অডিটোরিয়াম এবং বিশেষায়িত সুইমিংপুল ও খেলার মাঠ। একাডেমি ভবনের দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র হবে স্পেশাল শিশু বান্ধব করে। নান্দনিক ডিজাইনের টাইলস ফ্লোর ও ফ্লেক্সিবল রেলিংসহ থাকবে একক কাঠের খাট। ব্যবহৃত তৈজসপত্র হবে উন্নতমানের ফুডগ্রেড মেলামাইন এবং পোশাক পরিচ্ছদ ঋতুভিত্তিক।
[৪] প্রফেসর ড. দিদারুল আলম দেশের অটিজম ও এনডিডি শিশুদের সমশিক্ষা, দক্ষ ও অভিজ্ঞ নাগরিক হিসেবে সমাজের মূলস্রোতে অন্তভুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজএ্যাবিলিটিজ (ঘঅঅঘউ)। নান্ডের উদ্দেশ্য হলো এসব শিশুদের অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ, চাহিদা অনুসারে বিকল্প দক্ষতা ও বিকাশ ঘটানো, কারিগরি, ভোকেশনাল ও আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
[৫] তিনি বলেন, অটিস্টিক শিশুরা সমাজের বোঝা নয়, সঠিকভাবে তাদের পরিচর্যা করা হলে দেশ ও সমাজের জন্য তারা অবদান রাখতে পারবে। এই শিশুদের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন ও সহযোগিতা। পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি মানুষ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো।
[৬] মাউশির অধিনে ২০২৩ সালের ৩০ জুন নাগাদ মেয়াদকালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। যা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকেই বরাদ্দের এই টাকা যোগান দেয়া হবে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু
আপনার মতামত লিখুন :