আনোয়ার হোসেন: [২] পশ্চিমা কনকনে হিমেল বাতাস ও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ঘন কুয়াশার কারণে শীতে জবুথবু উত্তরের জেলা গাইবান্ধার মানুষ। দিনের বেলায় কখনো কখনো তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসে।
[৩] হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতের কারণে গোটা জেলার গরীব মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কাহিল হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতের কারণে সন্ধ্যার পর থেকেই রাস্তায় লোক চলাচল কমে যায়। শীতের কবল থেকে বাঁচতে পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভীড় ।
[৪] এদিকে জেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীপথে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষ বিপাকে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে মূল ভূমির সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরাঞ্চলের মানুষরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ে। জেলার গ্রামীণ জনপদ এবং যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও নদী তীরবর্তী এলাকার দু:স্থ পরিবারগুলো গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
[৫] এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী বলেন, গাইবান্ধার সাত উপজেলার ৮১টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার দরিদ্র-অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ৩৯ হাজার ১শ’ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতবস্ত্র ক্রয়ে নগদ ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ পাওয়া নগদ ৪২ লাখ টাকা সাত উপজেলায় ৬ লাখ করে বণ্টন করা হয়েছে।
[৬] গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, জেলার শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র চেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে শীতার্তদের তালিকা প্রস্তুত করে বরাদ্দ পাওয়া কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণরোধে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :