সোহাগ হাসান: [২] বিশেষ করে চর ও দুর্গম অঞ্চলের গরিব ও অসহায় পরিবারের লোকজন এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।
[৩] ঘন কুয়াশাজনিত কারণে সকাল প্রায় ৯টা পর্যন্ত মহাসড়কে বাস ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। এ কারণে যে কোনও সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে।
[৪] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে জেলায় তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা অব্যাহত রয়েছে। ঠাণ্ডা জনিত কারনে শিশুসহ অনেকের জ্বর সর্দিসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশার জেলার বিভিন্ন স্থানে ধানের বীজতলাও বিনষ্ট হচ্ছে।
[৫] এ শীতে কৃষকরা মাঠেও নামতে হিমশিম খাচ্ছে। গ্রামঞ্চলের লোকজন খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। স্থানীয় হাট-বাজারে শীতবস্ত্র ও পুরাতন গরম কাপড় কেনারও হিড়িক পড়েছে। মূল্য বেশি থাকায় দিনমজুর ও অসহায় পরিবারের লোকজন শীতবস্ত্র ক্রয় করতে পারছে না। বিশেষ করে চরাঞ্চলসহ যমুনা নদীর তীরবর্তী অসহায় দিনমজুর পরিবারগুরো এখন শীতে কাহিল।
[৬] সন্ধ্যার পরেই জেলা উপজেলা শহরগুলোতে জনসমাগম কমে যায়। যমুনা নদীর তীরবর্তী চৌহালী, শাহজাদপুর, কাজিপুর, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ দূর্গম অঞ্চলে এই তীব্র শীতের প্রভাব বেশি।
[৭] ইতিমধ্যেই সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে জেলার অনেক স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল শীতবস্ত্র বিতরণ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
[৮] এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মাদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে নগদ ৫৪ লাখ টাকাসহ ৪১ হাজার ৪’শ পিস কম্বল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই এসব কম্বল বিতরণ শুরু করেছে। এছাড়া চালসহ ৮ হাজার ৩’শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আরো কম্বলের চাহিদা পাঠানো হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।