শরীফ শাওন: [২] জাতীয় সংস্কৃতি নীতিমালা সংশোধনের মাধ্যমে যাত্রা, পুতুল নাচ ও নাট্যচর্চার পরিধি বাড়ানোসহ শিল্পখাতের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াস বলেন, খসড়ায় জাতীয় পর্যায়সহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে যাত্রা একাডেম এবং নাট্যমঞ্চ করার প্রস্তাবনা রয়েছে।
[৩] আব্দুল মান্নান বলেন, সকল সম্প্রদায়ের জনগণের নিজস্ব সংস্কৃতি, চিন্তা-চেতনা ও ধর্ম বিশ্বাসকের সমুন্নত রেখে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়তে ২০০৬ সালের জাতীয় সংস্কৃতি নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে শিল্পীদের সম্মাননা দিয়ে এই শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
[৪] খসড়াতে বলা হয়, যাত্রাশিল্পের সার্বিক কল্যাণ, প্রচার, প্রসার ও মানোন্নয়নে একাডেমি স্থাপনের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যাত্রা মঞ্চ তৈরি করা প্রয়োজন। প্রান্তিক পর্যায়ে অবস্থানরত নাটক ও যাত্রাশিল্পীদের ভাতা ও প্রয়োজনে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব, যাত্রা উৎসব আয়োজন করতে হবে। অপসংস্কৃতি থেকে রক্ষা করে যাত্রা ও পুতুলনাট্যের মান সংরক্ষণে প্রণীত নীতি বাস্তবায়নে জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে ট্রাস্ট গঠন করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
[৫] সুষ্ঠু নাট্যচর্চায় আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত নাট্যমঞ্চ প্রতিষ্ঠা এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় পেশাদার নাট্যদল পরিচালনা করা।
আপনার মতামত লিখুন :