শিরোনাম
◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪২ দুপুর
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মাটির ব্যবহার ছাড়াই চারা তৈরি করে সফল দিনাজপুর সদর উপজেলার জামাল উদ্দীন

তাহেরুল আনাম: [২] কোন রকম মাটির ব্যবহার ছাড়াই ফুলকপি, পেঁপেসহ বিভিন্ন সবজির চারা তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন দিনাজপুর সদর উপজেলার বেলবাড়ী গ্রামের জামাল উদ্দীন। তার চারা দিনাজপুর ছাড়াও ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নাটোর, ও কুড়িগ্রামসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলার কৃষকরা নিয়ে যাচ্ছেন। জৈব সার নারিকেলের ছোবড়া ও কচুরী পানা দিয়ে তৈরি ট্রে প্রদ্ধতির চারা সবল সতেজ ও দ্বিগুণেরও বেশি ফলন হয়ে থাকে।দিন দিন এই চারার জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

[৩] দিনাজপুর সদর উপজেলার বেলবাড়ী গ্রামের জামাল উদ্দীন ২০১৭সালে স্বল্প পরিসরে সব্জি চারার একটি নার্সারী গড়ে তোলেন।আধুনিক প্রদ্ধতিতে চারা তৈরি করে সফলতা পান। একটি বেসরকারী সংস্থার সহযোগীতায় সিডলিং ট্রের মাধ্যমে জৈব সার/নারিকেলের ছোবড়া ও কচুরী পানা দিয়ে তৈরি করা হয় এই চারা।এরপর আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।বর্তমানে একটি পলি সেডসহ ২বিঘা জমিতে সবজি চারা উৎপাদন করছেন তিনি।

[৪] এই নার্সারীতে তৈরি চারা সহজে মরেনা,এছাড়াও চারাগুলি সবল,সতেজ এবং ফলনের পরিমান দ্বিগুন হওয়ায কৃষকদের মাঝে ভালো সাড়া ফেলেছে।ভালো ফলন হওয়ায় বর্তমানে তার চারা দিনাজপুর ছাড়াও ঠাকুরগাঁও,পঞ্চগড়,নাটোর, ও কুড়িগ্রামসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলার কৃষকরা নিয়ে যাচ্ছেন। নার্সারীতে ১০জন কৃষি শ্রমিক কাজ করছেন।

[৫] নার্সারী মালিক জামাল উদ্দীন বলেন,শুরুতে হাট, বাজারে গিয়ে বিক্রি করেছি, কিছু দিনের মধ্যে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় একটি নার্সারী দেই সেই নার্সারী থেকেও চারা উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় একটি পলিসেট দেই ।এখন আমি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষজন এসে আমার চারা নিয়ে যাচ্ছে। সরকারী সহায়তা পেলে সব্জি নার্সারীকে আরো বড় পরিসরে করার ইচ্ছা রয়েছে।তাহলে আরো বেশি করে কৃষকদের মাঝে চারা সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি জানান।

[৬] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল বলেন, মাটিতে অনেক জীবানু থাকে যার কারণে ঢলে পড়া রোগ, মাটি ধোসা রোগ সবজী চারায় আক্রমণ করে। কিন্তু ট্রে-পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করলে এসব আক্রমণ থেকে চারা মুক্ত থাকে। কৃষি বিভাগ থেকে ট্রে-প্রদ্ধতিতে চারা উৎপাদনে কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন রকম পরামর্শ ও উৎসাহিত করা হচ্ছে।

[৭] সারাদেশে ট্রে প্রদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করা হলে সব্জির চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব।এজন্য কৃষি বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। সম্পাদনা: সাদেক আলী

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়