আব্দুল্লাহ মামুন: [২] মোহাম্মদ সুলতান পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাঝগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। যশোর জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
[৩] সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, তিনি এতোটাই আর্দশবাদী ছিলেন যে, মৃত্যুর আগ মহুর্তে তিনি যখন অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন তখন তিনি কেবিনে না থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে ছিলেন এবং সেখানে তিনি মারা যান। তিনি প্রথম একুশে সংকলন বের করেছিলেন, বিশেষ করে এজন্য তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
[৪] সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর যে ১১ জন সংগ্রামী ছাত্রনেতা ফজলুল হক হলের পুকুর পাড়ের সিঁড়িতে বসে রাত ১টায় ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মোহাম্মদ সুলতান ছিলেন তাদের অন্যতম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম কালো পতাকা উত্তোলনকারীদের একজন। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন।
[৫] ভাষা আন্দোলনের পর তিনি এম আর আখতার মুকুলের অংশীদারিত্বে প্রধানত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুস্তক বিক্রয় কেন্দ্র ‘পুথিপত্র’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে কবি হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ প্রকাশ করেন।
[৬] ১৯৮৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে জুরাইন কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব