মাছুম বিল্লাহ: [২] নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সুপারিশে প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী অন্তর্বর্তী নির্বাচনের কথা ঘোষণা করার ফলে সেখানে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
[৩] বুধবার আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, মানচিত্র পরিবর্তন করে ভারতের তিনটি সীমান্তবর্তী এলাকাকে নেপালের অন্তর্ভুক্ত বলে দেখানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওলি সরকার, নতুন সরকার এলে হয়তো তাকেও বদলানো সহজতর হবে। কিন্তু এ হেন টালমাটাল পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গণতন্ত্র বির্পযস্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ভাবে চীনের প্রভাব বাড়বে। সীমান্ত রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।
[৪] ভারতীয় এক কূটনৈতিকের বরাতে আনন্দবাজার লিখেছে, নেপালের সুস্থিতি এবং নিরাপত্তা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সে দেশে দীর্ঘদিন অস্থিরতা বহাল থাকলে বিভিন্ন বাইরের শক্তির উত্থান ঘটবে। তার মধ্যে রয়েছে তৃতীয় কোনও দেশ বা স্বার্থ। এই অস্থিরতা চললে, প্রাথমিক ভাবে নেপালের কমিউনিস্ট জোট দুর্বল হবে। আর দীর্ঘমেয়াদী ভাবে ক্ষতি হবে সে দেশের গণতন্ত্রের।
[৫] নয়াদিল্লির মতে, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিকে একজোট রেখে নিজেদের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত লক্ষ্য পূরণেই চীন বেশি ব্যস্ত, ওলির নেতৃত্বকে চোখ বুজে সমর্থন করায় নয়-এটা তিনি নিজে বোঝার পরই ভারতকে বার্তা দিয়েছিলেন। ভারত-বিরোধিতার পুরনো তাসকে বাতিল করে ভারতের নেতৃত্বের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করেছে ওলি সরকার। কিন্তু গোটা দ্বিপাক্ষিক প্রক্রিয়াটিই আপাতত থমকে গেল। যা ভারতের জন্যও যথেষ্ট সমস্যার বলেই মনে করা হচ্ছে।