শরীয়তপুর প্রতিনিধি: [২] শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার বঙ্গবন্ধু স্কুলের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া পরিচয়হীন কন্যা শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) পারভেজ হাসান। পদ্মা সেতুর নামে শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ‘সেতু’।
[৩] সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় শিশুটিকে দেখতে সদর হাসপাতালে যান জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান। পরে হাসপাতালের সাধারণ শিশু ওয়ার্ড থেকে কেবিনে স্থানান্তর করেন শিশুটিকে। কেবিনে রুম হিটারের ব্যবস্থা করেন, যাতে শিশুটির ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত না হয়। পাশাপাশি মশারি, পোশাক, খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেন জেলা প্রশাসক। তিনি শিশুটির নাম রাখেন ‘সেতু’।
[৪] সখিপুর থানার চরবাঘা ইউনিয়নের দেয়ারা চৌকিদার কান্দি গ্রামের আছিয়া বেগমের পরিচর্যায় রাখা হয়েছে ওই শিশুটিকে। শিশুটির ভরণ- পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) পারভেজ হাসান। তিনি আশা করেন শিশুটি একদিন বড় হয়ে পড়ালেখা শিখে মানবসেবায় নিয়োজিত হবে।
[৫] তিনি বলেন, গত তিনদিনেও শিশুটির প্রকৃত পিতা-মাতার খোঁজ মেলেনি। ফলে সোমবার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহম্মেদ খানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তার ভরণ- পোষণের দায়িত্ব নেন তিনি।
[৬] পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় শিশুটিকে এক দম্পতির হাতে তুলে দেয়া হবে। যাতে শিশুটি ওই বাবা-মায়ের পরিচয়ে বড় হতে পারে।
[৭] উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের দেয়ারা চৌকিদার কান্দি গ্রামের বাবুল ব্যাপারির স্ত্রী আছিয়া বেগম গত শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধু স্কুলের পাশে একটি পাথরের ওপর নবজাতক কন্যা শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশের সহযোগিতায় শিশুটিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে যায় আছিয়া বেগম। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে শিশুটি। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :