আব্দুল্লাহ যুবায়ের: [২] ফসিল বিশেষজ্ঞরা প্রাচীন জীবাশ্মের নমুনা পরীক্ষা করে বলছেন, প্রচণ্ড শীত পড়লে আদি মানুষেরা ঘুমিয়েই তা মোকাবেলা করতো। সাপ, ব্যাঙ, ভালুকসহ অন্য স্তন্যপায়ীদের মধ্যে আজও এই প্রবণতা দেখা যায়। দ্য গার্ডিয়ান
[৩] উত্তর স্পেনের আতাপুরেকায় ‘সিমা দে লস হিউসোস’ নামে একটি গুহা খননের পর পাওয়া হাড়ের উপর গবেষণা করেই এমন সিদ্ধান্তে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৪] ফসিল বিজ্ঞানীরা বলছে, প্রথম দিকের মানুষের জীবাশ্মের হাড়ের ক্ষত এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির লক্ষণগুলো শীকনিদ্রায় যাওয়া অন্য প্রাণীর হাড়ের মতোই। এ থেকে বোঝা যায়, তীব্র শীত থেকে বাঁচতে তারা অন্য প্রাণীর হাড়ের মতো মানুষের জীবাশ্মের হাড় থেকে শক্তি সংগ্রহ করতো।
[৫] গত তিন দশকে, আতাপুরেকার গর্তের মূল অংশটির ৫০ ফুট খাদের নীচে পাওয়া কাঁদা থেকে কয়েক ডজন মানুষের জীবাশ্মের অবশেষ বের করা হয়েছে। গুহাটি কার্যকরভাবে একটি গণকবর, গবেষকরা বলছেন, হাজার হাজার দাঁত এবং হাড়ের টুকরো এখান থেকে পাওয়া গেছে। যা সম্ভবত ইচ্ছাকৃতভাবে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই জীবাশ্মগুলি প্রায় চার লক্ষ বছরেরও বেশি পুরনো এবং সম্ভবত প্রাথমিকভাবে নিয়ানডারথাল তাদের ছিল। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল