বাশার নূরু: [২] ভারত ও বাংলাদেশের দুই জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে চলছে একটি ডিজিটাল প্রদর্শনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিবিশনের’ উদ্বোধন করেন ।
[৩] প্রথম দফায় দিল্লির পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ডিজিটাল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘেও এ প্রদর্শনী হওয়ার কথা রয়েছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে কলকাতায় হবে প্রদর্শনীর সমাপনী।
[৪] প্রদর্শনীর আয়োজকরা বলছেন, দুই সময়ে জন্ম নেওয়া দুই নেতা কীভাবে তাদের জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন, তা এই প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয়েছে। ২১টি ডিজিটাল দেয়াল দিয়ে সাজানো এই প্রদর্শনীর ‘ইন্ট্রোডাকশন ওয়ালে’ আছে প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্যের নানা দিক। এর মধ্যে ‘দ্য মিটিং’ দেয়ালে স্থান পেয়েছে ১৯৪৭ সালের আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও গান্ধীর মধ্যে সাক্ষাতের ছবি। এটাই এখন পর্যন্ত তাদের সাক্ষাতের একমাত্র ছবি।
[৫] ‘বা-বঙ্গমাতা’ নামক দেয়ালে স্থান পেয়েছে গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর বেড়ে উঠার পেছনে দুই অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর গল্প। শতাধিক ডিজিটাল উপস্থাপনার মধ্যে আরও রয়েছে হলোগ্রাফিক টাইম মেশিনে ইতিহাসকে তুলে ধরার আয়োজন। এতে দুই নেতার আন্দোলন-সংগ্রামের নানা ঘটনা প্রায় বাস্তবের মত হয়ে ধরা দিবে দর্শকদের কাছে।
[৬] জালিয়ানওয়ালাবাগ এবং জেনোসাইড টানেলে তুলে ধরা হয়েছে ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান বাহিনী কর্তৃক নিরীহ মানুষকে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনাবলী। ৩৬০ ডিগ্রি ছবিতে দুই নেতার সংগ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনা উপস্থাপনের পাশাপাশি প্রদর্শনীতে রয়েছে তাদের রোবোটিক স্বাক্ষরও। বিডি নিউজ