স্পোর্টস ডেস্ক : [২] মরনঘাতি করোনা ভাইরাস যেন পিছু ছাড়তে চাইছে না দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের। দেশটির ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঁছড়ে পড়েছে। আর সেই ম্যাচে খেলেছেন সর্বশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের স্কোয়াডে থাকা ১০ জন ক্রিকেটার। ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দল নির্বাচন নিয়ে তাই বেশ বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের নির্বাচকরা।
[৩] যে কারনে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আগামী মাস পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। দেশটিতে করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রথম ধাক্কা খেয়েছে টাইটান বনাম ডলফিনের ম্যাচ। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে টাইটানের একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তৎক্ষণাৎ ম্যাচটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে জানা যায় দলের আরো তিন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
[৪] সেই ম্যাচে প্রোটিয়া টেস্ট দলের ছয় সদস্যদের মধ্যে টাইটান দলে ছিলেন এইডেন মার্করাম, ডিন এলগার এবং লুঙ্গি এনগিডি। ডলফিন দলের কেশব মহারাজ, সারেল এরউই এবং কিগান পিটারসেন। অপরদিকে লায়ন্স ও নাইট ম্যাচের তৃতীয় দিনে এসেছে করোনার ধাক্কা। লায়ন্সের এক ক্রিকেটারের পজিটিভ আসে সেদিন। তার নাম সরিয়েও নেয়া হয় ম্যাচ থেকে।
[৫] যদিও নাইট দলের সদস্যরা ও কোচিং স্টাফরা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে ম্যাচের বাকি অংশ শেষ করেছিলেন। সে ম্যাচেও খেলেছেন টেস্ট স্কোয়াডের চার জন সদস্য। লায়ন্সে ছিলেন রসি ভ্যান ডার ডুসেন, বেওরান হেনড্রিকস ও উইয়ান মুলডার। নাইটে ছিলেন ইগায়েন প্রিটোরিয়াস।
[৬] প্রোটিয়া টেস্ট স্কোয়াডের বড় একটি অংশ করোনা আক্রান্তের ঝুঁঁকির মধ্যে থাকলেও দলের ছয় সদস্য ছিলেন মুক্ত। তারা হলেন অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক, ফাফ ডু প্লেসিস, টেম্বা বাভুমা, এনরিক নর্কিয়া, কাইল ভারানে, গ্লেন্টন স্টুরম্যান। যদিও স্টুরম্যান কোবরা বনাম ওয়ারিওর্সের ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু সেখানে কোন ধরণের সংক্রমণ ঘটেনি।
[৭] নিয়ম অনুযায়ী সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সকল সদস্যকে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। যা ১৪ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ২৩ ডিসেম্বর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরুর মাত্র তিন দিন বাকি থাকতে ক্রিকেটাররা দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন। তাই দল নির্বাচনে বেশ বিপাকে পড়েছেন প্রোটিয়া নির্বাচকরা। - ক্রিকফ্রেঞ্জি / ক্রিকইনফো