লিহান লিমা: [২] মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড.আরিফ আলভি ধর্ষণবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২০-এর অনুমোদন দেন। অধ্যাদেশ অনুযায়ী ধর্ষণ মামলার জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠন করা হবে, যৌন নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীদের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে, যৌন নিপীড়কদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে এবং ক্ষেত্র বিশেষে অপরাধীদের রাসায়নিকভাবে খোজা করে দেয়া হবে। গার্ডিয়ান/ডন
[৩] অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ধর্ষণবিরোধী সেল ছয় ঘণ্টার মধ্যে ভুক্তভোগীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন। চার মাসের মধ্যে দ্রুত বিচার আদালতে ধর্ষণ মামলার রায় দেয়া হবে। ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখা হয়েছে। পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তদন্তে অবহেলা করলে বা মিথ্যে তথ্য দিলে তাদের তিন বছরের কারাদন্ড এবং জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
[৪] গত সেপ্টেম্বরে দেশটির লাহোরে মহাসড়কের পাশে দুই সন্তানের সামনে এক নারীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা পাকিস্তান জুড়ে জনরোষ তৈরি করে। লাহোরের পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ঘটনার জন্য ওই নারীর একা চলাফেরা করাকে দায়ী করলে দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের মুখে নভেম্বরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রীসভা ধর্ষণবিরোধী অধ্যাদেশের অনুমোদন দেয়। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের অধ্যাদেশের পর পরবর্তী ১২০ দিনের মধ্যে সংসদে উত্থাপনের মাধ্যমে এটিকে চূড়ান্তভাবে আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে পাকিস্তান সরকার।
[৫] অধিকার কর্মীরা এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে কেউ কেউ এই অধ্যাদেশের সমালোচনা করে বলছেন, শাস্তি অতিরিক্ত কঠোর করা হয়েছে।