জেরিন আহমেদ: করোনার পর এখন আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু। ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে অনেক মানুষ। তাই পরিবারের সবাইকে নিরাপদে রাখতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। এডিস ইজিপটি নামের মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস মানব শরীরে প্রবেশ করে।
এ মশা ভাইরাসবাহী কাউকে কামড়ানোর পর অন্য আরেকজনকে কামড়ালে সেই মানুষটি আক্রান্ত হয়। এডিস মশা স্থির পানিতে, যেমন- পরিত্যক্ত টায়ার, পানির বোতল, কনটেইনার, ফুলের টব, এয়ারকুলারের পানি ইত্যাদির মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে। কিছু গাছ রয়েছে যা ঘরের মশা তাড়াবে। ঘরের সঙ্গে লাগানো বা আলোযুক্ত স্থানে এসব গাছ রাখলে ক্ষতিকারক মশার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।
তুলসী: এই গাছের উপকারী পাতা অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপকারিতাসম্পন্ন এই পাতার আরও বড় উপকারিতা হলো, এই গাছ ও গাছের পাতা মশাকে তাড়াতে কাজ করে। তুলসী পাতায় প্রাকৃতিক একধরনের ঘ্রাণ রয়েছে, যা মশা সহ্য করতে পারে না। এই গাছ ঘরের এমন জায়গায় রাখুন যেখানে মশা বেশি প্রবেশ করে।
ক্যাটনিপ : ২০১০ সালের একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে, পোকামাকড় তাড়ানোর উপাদানের চাইতেও ক্যাটনিপ বেশি কার্যকরি। এই গাছে এক প্রকারের প্রাকৃতিক উদ্ভিজ কেমিক্যাল রয়েছে, যা বিড়ালের পছন্দ এবং মশা, মাছি, পোকামাকড়কে দূর করে। এই গাছ পোকামাকড় তাড়ানোর উপাদানের চাইতেও বেশি কার্যকর। আলো-বাতাস আসে এমন স্থানে খুব সহজেই এই গাছ বেড়ে ওঠে।
পুদিনা পাতা : রান্নাঘরের জানালায় বা বারান্দায় যে পুদিনা গাছটি আছে, সেটা শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, পাশাপাশি আপনাকে মশার হাত থেকেও রক্ষা করে। দ্রুত বেড়ে ওঠা এই গাছের পাতা থেকে তৈরি তেল মশাকে দূরে রাখবে। এছাড়া মশা কামড় দেওয়া স্থানে পুদিনা পাতা ছেঁচে ম্যাসাজ করলেও আরাম পাওয়া যাবে।
লেমন বাম: এই গাছটি দেখতে অনেকটা পুদিনা পাতার মতো, তবে পুদিনা পাতা নয়। একেবারে অযত্নেও এই গাছটি খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। সেইজ: সেইজ গাছ অনেকটা তুলসীর মতো। এই পাতার ধোঁয়া মশা দূর করে। ঘরে সন্ধ্যার সময়ে কয়েকটি সেইজ পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া করলে সুমিষ্ট গন্ধ থাকবে ও মশাও দূর হবে।
৫. সেইজকে অনেকে ভুঁই তুলসি নামে পরিচিত। এই পাতার ধোঁয়াই মূলত মশাকে দূর করে। সন্ধ্যায় কয়েকটি সেইজ পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিলে মশাও দূর হবে। লাইফ স্টাইল, সময় নিউজ