হেলাল মহিউদ্দীন: একেকজন চলন্ত করোনা-বোমা! এক বন্ধু তাদের নাম দিয়েছেন ‘ইউনিভার্সাল ডোনার’। তারা ‘অ্যাসিম্পটমিক’ বা লক্ষণবিহীন করোনাধারী। বাংলাদেশে তাদের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে তো বটেই। ব্যক্তিগত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে অনেকে নিজেরা টিকে গেলেও ভগ্নস্বাস্থ্যদের মাঝে ঠিকই ছড়িয়ে দিচ্ছেন। সম্প্রতি কয়েকজন ব্যক্তি করোনা ধরা পড়ার দুয়েকদিনের মধ্যেই মারা গেলেন। তাদের অক্সিজেন লেভেল এতোই দ্রুত পড়ছিলো যে হাসপাতালে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবার আগেই আসন্ন মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে উঠছিলো।
লক্ষ্যণীয়, তারা ছিলেন স্বচ্ছল, শিক্ষিত, সদাসতর্ক। স্বাস্থ্যবিধি মানতেন। এই অবস্থায় একটি লকডাউন অত্যাবশ্যক ছিলো। কিন্তু উল্টো ...আমার এলাকায় কয়েকশ মানুষের গায়ে গা ঘেঁষা মিছিল হয়েছে ছয়বার। দেশজুড়ে পাড়া-মহ্ল্লার মিছিলকে আমলে নিলে বোঝা সহজ যে মিছিল বাহনে চড়ে সারা দেশে আরও লাখ লাখ মানুষ করোনাক্রান্ত হচ্ছেন। আবেগ তাতিয়ে দিয়ে ঝিমিয়ে পড়তে চলা দলকে মুহূর্তেই চাঙা করে ফেলা গেলেও মড়ক-মহামারি কিন্তু হেফাজত, আওয়ামি লীগ, মূর্তি-ভাস্কর্য, বিএনপি কিচ্ছু চিনে না। করোনায় মৃতদের মূল পরিচয় তারা কারও বাবা, কারও মা, ভাই, বোন, স্বামী, স্ত্রী, সন্তান, বন্ধু, স্বজনদলীয় কর্মী নন। মৃত্যুকে হাতে-পায়ে ধরে ডেকে আনার মহাক্ষমতা থাকলেও প্রিয়জনের মৃত্যুজনিত ক্ষতিটুকু পুষিয়ে দেওয়ার ন্যূনতম ক্ষমতাটিও পৃথিবীর কোনো রাজনীতির আছে কি? দুনিয়াজুড়েই রিপোর্ট হচ্ছে করোনা রূপ পাল্টে বিধ্বংসী হচ্ছে। সকলের সুমতি হোক। ফেসবুক থেকে