শরীফ শাওন: [২] পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশনে নতুন নিয়মে পরীক্ষার খাতার যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ায় গণহারে অকৃতকার্য হচ্ছে বলে জানায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
[৩] শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, পরীক্ষার ১১ মাস পর ফল প্রকাশ করলে দেখা যায় পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন পাইনি। সিজিপি-২- এর কারণে পাঁচ বিষয়ে পাস করেও পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন পাচ্ছি ন। ইংরেজি বিভাগে পাসের হার ২১ শতাংশ, অর্থনীতিতে ২৯ শতাংশ, বাংলায় ৩১ শতাংশ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও অনেক ফেল। পরবর্তী বছর পরীক্ষা দিতে প্রতি বিষয়ে ৮০০ টাকা প্রয়োজন।
[৪] ছয় দফা দাবিগুলো হলো-২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সিজিপিএ ২/২.২৫/২.৫০ পয়েন্টে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের নিয়ম বাতিলকরণ ও সর্বনিম্ন তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রমোশন; এক মাসের মধ্যে স্নাতক ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় বর্ষের মানোন্নয়ন পরীক্ষা এবং অতি দ্রুত তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ; ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ; সব বর্ষের ফলাফল সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ, একটি শিক্ষাবর্ষে একাধিক বর্ষের শিক্ষার্থী না রাখা; ডিগ্রি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের চলমান বিশেষ পরীক্ষা অতি দ্রুত নিয়ে এক মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ এবং সব মানোন্নয়ন পরীক্ষা অতি দ্রুত নিতে হবে; ডিগ্রি-স্নাতক-স্নাতকোত্তরসহ সব বর্ষের ফলাফলে শিক্ষার্থীদের গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণসহ খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
[৫] বুধবার ঢাকা কলেজের সামনে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা এসব দাবি জানান। এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে যাওয়ার সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে।