ইমরুল শাহেদ: খ্যাতিমান মডেল ও আলোচিত অভিনেত্রী কাজী নওশাবা অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ছাড়পত্র আগামী নারী দিবসে দেশে মুক্তি পাবে। তার আগে অপরাজিতা সঙ্গীতা পরিচালিত এই ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হচ্ছে বেলজিয়ামে। 'বিশ্বজুড়ে নারীদের প্রতি সহিংসতা দূরীকরণের আন্তর্জাতিক দিবস' উপলক্ষে জাতিসংঘ 'অরেঞ্জ দা ওয়ার্ল্ড'-এর আয়োজনে ১৬ দিন ব্যাপী ‘মানবতা কালেক্টিভ ভি জেড ডব্লিউ’ নামে যে ক্যাম্পাইন পরিচালিত হচ্ছে তার শেষ দিন ১০ ডিসেম্বরে এই ছবিটি প্রদর্শন করা হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'ছাড়পত্র'-র মূল চরিত্রেই অভিনয় করেছেন নওশাবা।
ছবিটির শুরুতেই দেখা যাবে-হাজব্যান্ডের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তবুও নওশাবা তার হাজব্যান্ড নাফিসকে ডিভোর্স করতে চান। সেজন্য তিনি আইনজীবী জয়িতা মহলানবীশের চেম্বারে যান। আইনজীবী নানাভাবে প্রশ্ন করেও ডিভোর্সে কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে অকস্মাৎই দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন তনু, নুসরাত, রুপা, আয়েশা মনি, রত্না খাতুন, হযরত আলী-আয়েশা প্রমুখ। উঠে আসে ২ বছরের শিশু থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধা, প্রতিবন্ধী, আদিবাসী, রোগী, অন্তঃসত্ত্বা নারী ধর্ষিত হবার ঘটনা।
এসব ঘটনার সঙ্গে ডিভোর্সের যোগসূত্র খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, একজন নারীর প্রতিবাদের গল্প 'ছাড়পত্র'। নওশাবা বলেন, আমাকে দিয়ে কাজটা করানোর জন্য পরিচালক অপরাজিতা সঙ্গীতা তিন মাস অপেক্ষা করেছেন। তিনি মনে করেছেন তার অন্তর নিংড়ানো এই চরিত্রটি চিরত্রানুগভাবে আমিই বাস্তব করে তুলতে পারব। কাজটা করতে গিয়ে আমিও চেষ্টা করেছি পরিচালকের সৃষ্ট চরিত্রটি বাস্তবের চাইতেও বাস্তবিক করে তুলতে।’ নওয়াশাবা বলেন, ‘ছবিটির পরিচালক যেহেতু একজন নারী, সেহেতু তার উপলব্ধিসঞ্জাত অনুষঙ্গ দিয়েই তিনি আমার অভিনীত চরিত্রটিকে বৈশিষ্ঠ্যমন্ডিত করে তুলেছেন। আমার দৃষ্টিতে তিনি পরিচালক হিসেবে সার্থক।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ব্যস্ততার কারণে পরিচালক বেলজিয়াম যেতে পারেননি। তিনি ছবিটি পাঠিয়ে দিয়েছেন।