কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] ১৯১টি দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কুল খোলা বা বন্ধ যাই থাকুক না কেন তার সঙ্গে কমিউনিটিতে করোনা সংক্রমণের হারের কোনো সম্পর্ক নেই।
[৩] স্কুল পুনরায় চালু করার পরিকল্পনার মধ্যে দূরশিক্ষণসহ শিক্ষা গ্রহণের বিস্তৃত সুযোগ অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য।
[৪] ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলার জন্যও শিক্ষা ব্যবস্থাকে মানানসই করে গড়ে তুলতে হবে।
[৫] করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
[৬] গত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রতি পাঁচজন স্কুলগামী শিশুর মধ্যে প্রায় একজনের বা মোট ৩২ কোটি শিশুর ক্লাসরুম বন্ধ রয়েছে, যা গত ১ নভেম্বরের ২৩ কোটি ২০ লাখের চেয়ে প্রায় ৯ কোটি বেশি।
[৭] ইউনিসেফের শিক্ষা কার্যক্রমের বৈশ্বিক প্রধান রবার্ট জেনকিনস বলেন, বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখার চেয়ে এগুলো খুলে রাখাই বরং বেশি উপকারী এবং যেকোনো মূল্যে দেশজুড়ে স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়টি পরিহার করা উচিত।
[৮] লাখ লাখ শিশু নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে তাদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে রয়েছে এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়াই অনেক বেশি সংখ্যক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এবং স্কুলগুলোকে কোভিড-১৯ থেকে নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।