আরিফুজ্জামান তুহিন: দুনিয়ার নিকৃষ্টতম বামপন্থীরা থাকেন বাংলাদেশে। পড়াশোনা, বিদ্যা, বুদ্ধি জ্ঞানের কথা বাদ দিলেও সমাজ যাদের ‘বাম’ হিসেবে জানেন তাদের প্রধান সংকট হলো, তারা যে সমাজতন্ত্রের কথা বলে সেটাতেই তারা বিশ্বাস করে না। যে যা বিশ্বাস করে না তার কাছে সেটি নিরাপদ না যেমন, তার হাতে দিয়ে যদি সেটি আসেও তা জনগণকে নিপীড়ন করবে। এখন তাদের কেউ কেউ সহি মূর্তি ও সহি ভাস্কর্যর ফতোয়া দিচ্ছে। তারা আর মাওলানা সাবদের মধ্যে ফারাক কী? মিলেমিশে দল বানালে প্রবলেম কোথায়?
সারা জীবন মাওলানাদের বলতে শুনেছি যে, এমন ছবি আঁকা যাবে না যার প্রাণ আছে। কারণ তুমি তো প্রাণ দিতে পারো না, সে কারণে ওইরকম ছবি আঁকা হারাম। তো এসব বলে তাদের সব পোস্টার ফুল, ফল, তরুলতা টাইপ একটা অঙ্কন দিতো। কিন্তু দেখেন, বিজ্ঞানীরা আমাদের বহু আগেই বলেছেন, গাছেরও প্রাণ আছে। তাহলে এই লতাপাতা আঁকলেন, সেটা শিরক হলো না? ইসলামে ছবি আঁকা হারাম বলে নিজের ছবি ফেসবুকে দিচ্ছেন, এটা হারাম না? এতো হারাম হালাল নিয়ে তারা দুনিয়ার সব থেকে বড় হারাম কাজ করেন। সেটা হলো পুঁজিবাদের সেবা। তারা পুঁজিবাদে ঘুমায়, পুঁজিবাদে খায়, পুঁজিবাদ ভালোবাসে। অথচ দুনিয়ার সব সংকটের গোড়া হলো পুঁজিবাদ। আমাদের দেশে বামপন্থা ও ইসলাম দুটোই ভন্ডদের হাতে পড়েছে। ফলে আদর্শিক কোনোকিছু নিয়ে হাপিত্যিশ করা ছাড়া কিছু দেখছি না। আর হুমায়ূন আজাদ আগেই বলে গেছিলেন, সবকিছু নষ্টদের অধিকারে গেছে। ফেসবুক থেকে