আবু হাসান শাহরিয়ার: যতোই গাল ছুঁয়ে আদর করুন না কেন, অথবা শান্তিকামী মাতৃস্নেহে যতোই ‘সন্তান’ ভাবুন না কেন, বেজন্মাকে- কুকুরের লেজ কখনও সোজা হয় না। কুলাঙ্গাররা সোজাপথে হাঁটে না। পশ্চাৎপদ কোনো ধর্মসনদকে মাস্টার্সের সমতুল্য ঘোষণা দিলে কী হয়, সমগ্র জাতি এখন তা দেখছে। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনাকে বলি— মূর্তি ও ভাস্কর্যের মূঢ় বিরোধমীমাংসায় না গিয়ে ধর্মনির্লিপ্ত মানবিককণ্ঠে বলুনÑ ‘এক ধর্মের গোভক্ষণের পাশে আরেক ধর্মের শূকরভক্ষণ থাকবে, সিন্নির বাতাসা-বিতরণের পাশে শিল্পের ভাস্কর্যও নির্মিত হবে।
মুক্তির মুজিববর্ষে যে-কাঠমোল্লারা মূর্তি ও ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছে এবং যারা ওই উস্কানিতে সাড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে, তাদের ধর্মানুসারেই ওইসব অশুভ হাত কর্তিত হওয়ার বিধান তৈরি করে তা কার্যকরে রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক। মুজিববর্ষের বিজয়মাসে ত্রিশ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগ রাষ্ট্রের কাছে এ প্রত্যাশাই করে। জয় বাংলা। জয় সাত মার্চ। জয় মুক্তিযুদ্ধ। জয় মুক্তির ডিসেম্বর। জয় মুজিববর্ষ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :