গাজীপুর প্রতিনিধি: [২] বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকালে এ দুর্ঘটনা গুলো ঘটে।
[৩] সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিহ মহাসড়কের নয়নপুর এলাকায় শুক্রবার সকাল আটটার দিকে কাভার্ডভ্যানের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী এবং বৃহস্পতিবার রাতে এমসি বাজার এলাকায় এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কালীগঞ্জের কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কের বাঘারপাড়া নামকস্থানে অজ্ঞাত গাড়ীর চাপায় ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক ও অজ্ঞাত যাত্রীর মৃত্যু হয়।
[৪] শুক্রবার সকালে শ্রীপুরের নয়নপুরে নিহত সিরাজ মিয়া (৪৫) ময়মনসিংহের ভালুকা থানার জামিরদিয়া গ্রামের মৃত ময়জুদ্দীনের ছেলে।
[৫] নিহতের ছোট ভাই বেলাল হোসেন জানান, বড়ভাই সিরাজ মিয়া ফজরের নামাজ পড়ে শ্রীপুরের সিংগারদিঘী এলাকায় খর ক্রয় করে বাড়ি ফেরার পথে ওই সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হয়।
[৬] বৃহস্পতিবার রাতে এমসি বাজার এলাকায় নিহত কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন (১৭) ময়মনসিংহের পাগলা থানার লংগাইর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। জুবায়ের ময়মনসিংহের কান্দিপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
[৭] নিহতের চাচাতো ভাই বেলালী জানান, জোবায়ের বৃহস্পতিবার সকালে নিজের টিভিএস কোম্পানির মোটরসাইকেলটি সার্ভিসিং করাতে শ্রীপুরের মাওনা-চৌরাস্তা এলাকায় গিয়েছিল। সার্ভিসিং শেষে ফেরার পথে ওই সড়ক দুর্ঘটনায় সে নিহত হয়।
[৮] শ্রীপুরের মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি এআরএম আল মামুন জানান, শ্রীপুরের সিংগারদিঘী এলাকা থেকে মোটরসাইকেলযোগে ময়মনসিংহের ভালুকার জামিরদিয়া নিজ গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন সিরাজ মিয়া। পথে নয়নপুর এলাকার আরএকে সিরামিক্স কারখানার সামনে পৌঁছালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ময়মনসিংহগামী কভার্ডভ্যান পেছন থেকে মোটর সাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলসহ তিনি কভার্ডভানের নিচে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সিরাজ মিয়া নিহত হন। কভারভ্যানটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে যায়। এছাড়া শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলযোগে ময়মনসিংহের পাগলা থানা এলাকার গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীপুরের এমসি বাজার এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ময়মনসিংহগামী কভার্ডভ্যান পেছন থেকে মোটর সাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই জোবায়ের নিহত হয়। কভারভ্যানটি পালিয়ে যায়।
[৯] অপরদিকে জেলার কালীগঞ্জের কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কের বাঘারপাড়া নামকস্থানে অজ্ঞাত গাড়ীর চাপায় নিহত ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক নুরুল ইসলাম নুরু (৪২) কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর গ্রামের তরব আলী খন্দকারের ছেলে এবং ওই অটোরিক্সার যাত্রী মোকারম হোসেন (৩৬) মোক্তারপুর ইউনিয়নের সাওরাইদ গ্রামের মোস্তফার ছেলে। তারা ঘোড়াশালের দিকে যাচ্ছিলেন।
[১০] কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক জানান, রাত আটটার দিকে ঘোড়াশালগামী ব্যাটারী চালিত একটি অটোরিক্সা কালীগঞ্জ বাইপাস সড়কের বাঘারপাড়া এলাকা হয়ে ঘোড়াশালের দিকে যাচ্ছিল। পথে বিপরীত দিক থেকে টঙ্গী গামী অজ্ঞাত একটি গাড়ী তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলটি নির্জন হওয়াতে দুর্ঘটনা টি দেখতে পায়নি। পরে ওই সড়কে চলাচলকারী টঙ্গী গামী একটি প্রাইভেটকার বাঘারপাড়া স্ট্যান্ডে স্থানীয়দের অবগত করেন। তখন স্থানীয়রা গিয়ে রিক্সার চালক ও যাত্রী দু’জকেই মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ৯৯৯ পুলিশকে ফোন দিলে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল কুদ্দুস ও মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
[১১] তিনি আরো জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মৃতদেহ হস্থান্তর করা হয়েছে। এব্যাপারে সড়ক আইনে নিয়মিত মামলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :