ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত একটি ভাস্কর্যের একটি ভাঙা কান যে পরিমাণ গুরুত্ব পেল, পুরো করোনাকালে আস্ত একটা মানুষ সে পরিমাণ গুরুত্ব পেয়েছে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
গতকাল বুধবার ঢাবির মধুর রেস্তোঁরা সংলগ্ন ‘মধুদার’ ভাস্কর্যের কান কে বা কারা ভেঙে দেওয়ার পর রাতের মধ্যেই তাড়াহুড়ো করে সেই কান মেরামত করা হয়েছে। অনেকটা যেন জীবিত মানুষের কর্তিত কানের দশা! তাড়াতাড়ি সেই কানের ব্যাণ্ডেজ-সেলাই না হলে রক্তক্ষরণে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে! ভাস্কর্যের ভাঙা কানের মেরামত নিয়েও সেই রকম জরুরি ক্ষিপ্রতা দেখা গেছে।
পত্র-পত্রিকার খবরে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয়ে প্রক্টরিয়াল টিমের মুঠোফোন নম্বরে কল করা হলে নাসির নামের টিমের এক সদস্য বলেন, ‘মধুদার ভাস্কর্যের কান কারা ভেঙেছিলেন, তা জানা যায়নি। আপাতত আমরা কানটি কোনোমতে লাগিয়ে দিয়েছি। পরে ভালো করে মেরামত করা হবে।’
ঢাবির ‘মধুদা’ ভাস্কর্যের একটি ভাঙা কান ক্ষিপ্রতার সাথে মেরামতের এই ‘দরদি’ খবরের পাশাপাশি ভাস্কর্য বিষয়ে আরেকটা ‘আবেগদ্বীপ্ত ও উত্তেজক’ খবরও পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের হলে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য যথাসময়ে যথাস্থানে স্থাপন করতে প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঢেলে দেওয়া হবে।’ এ ঘোষণা দিয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য বাস্তবায়ন পরিষদ’। এ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মুজিববর্ষ চলাকালে দেশের প্রতিটি জেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের দাবিও জানিয়েছে।
ইট-পাথরের ভাস্কর্যের ‘ভাঙা কান মেরামত’ আর নতুন ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য ‘রক্ত ঢেলে দেওয়ার’ ঘোষণার খবরে রক্তমাংসের মানুষদের নতুন কৌতূহলের মধ্যে পড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। ভাস্কর্যের জন্য সমাজে হঠাৎ উত্তেজনা ও দরদের নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এতে দেশে মানব জীবনের গুরুত্ব কমবে নাকি বাড়বে সময়ই হয়ত বলে দেবে।
সূত্র- ইসলামটাইমস