শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:৩৭ সকাল
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাকির তালুকদার: ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে পার্থক্য দেখানোর এতো প্রয়াসের কোনো দরকার নেই

জাকির তালুকদার: ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে পার্থক্য দেখানোর এতো প্রয়াসের কোনো দরকার নেই। মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে শতশত ভাস্কর্য আছে, সেসব উদাহরণও আমাদের দেওয়ার কোনো দরকার আছে বলে মনে করি না। হেফাজতের নেতারা দাবি করছেন যে, তারা কোরআন-সুন্নাহ ছাড়া অন্য কোনো উদাহরণ গ্রহণ করতে রাজি না। আমার সোজা উত্তর বাংলাদেশ কোরআন-সুন্নাহর আইন দ্বারা পরিচালিত হয় না। পরিচালিত হয় সংবিধান এবং পেনাল কোড দিয়ে। এখানে চোরের শাস্তি হাতকাটা নয়। ব্যভিচারের শাস্তি অর্ধেক মাটিতে পুঁতে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শব্দটি এই সরকারের অন্যায় ব্যবহারে খেলো হয়ে গেছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সত্যিই ছিলো। কারও কারও মনে এবং জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিফলিত হয় সবসময়। সেই চেতনা এবং বাংলাদেশের আইন অনুসারে ভাস্কর্য নির্মাণ করা কোনো অন্যায় নয়। কোরআন-সুন্নাহ দ্বারা দেশ চালাতে গেলে আপনাদের তা করতে হবে নিজেরা ক্ষমতায় গিয়ে। চোরাগোপ্তা হত্যা, ফতোয়াবাজি করা, মাঝে মাঝে একটা, দুইটা সমাবেশ করার বদলে পারলে নিজেরা ক্ষমতায় যান। তবে নিজেরা ক্ষমতায় গেলেই যে কোরআন-সুন্নাহর আইন চালাতে পারবেন তারও নিশ্চয়তা নেই। তুরস্কে এরদোয়ান এতোদিন ক্ষমতায় থেকেও তা চালু করেননি। বস্তুত চার খলিফার মোট সাড়ে একত্রিশ বছরের খেলাফতের পরে মুসলিম বিশ্ব থেকে কোরআন-সুন্নাহর আইন উঠে গেছে।
শত শত বছর মুসলিম শাসকরা অর্ধেক পৃথিবী শাসন করলেও কেউ-ই কোরআন-সুন্নাহর আইন পুনরায় প্রবর্তন করেননি। কেন করেননি, সে প্রশ্নের উত্তর নিজেরা পারলে খুঁজে বের করুন। আমি বললে দিলে চোট লাগবে আপনাদের। বাংলাদেশকে কি আপনারা তাহলে দার, উল, হারবো ঘোষণা করবেন? ব্রিটিশ আমলে এক শ্রেণির ধর্মীয় নেতা ভারতবর্ষকে দার উল হারব ঘোষণা করে মক্কায় চলে গিয়েছিলেন। মক্কাই তাদের কাছে তখন একমাত্র দার উল ইসলাম ছিলো। কিন্তু তাদের ঘোষণাকে ভুল আখ্যা দিয়েছিলেন মক্কার চার মজহাবের চার প্রধান মুফতি। তারা জানিয়েছিলেন, যে দেশে নামাজ রোজাসহ ধর্মীয় উপাসনা করতে কোনো বাধা নেই, যে দেশে মুসলমানদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় না, যে দেশে মুসলমানদের জুম্মা-জমায়েতে কোনো বাধা দেওয়া হয় না, সেই দেশকে দার-উল-হারব বলা যাবে না। বাংলাদেশসহ কোনো মুসলিম প্রধান দেশেই কোরআন-সুন্নাহর আইন প্রচলিত নেই। কিন্তু কোনো দেশই দার উল হারব নয়। ভাস্কর্য নিয়ে নয়। আন্দোলন করুন বাংলাদেশের লুটেরাদের বিরুদ্ধে, দেশের তেল- গ্যাস সম্পদকে যারা জনগণের কাজে না লাগিয়ে বিদেশিদের হাতে তুলে দেয় তাদের বিরুদ্ধে, সুন্দরবনকে যারা ধ্বংস করে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে। আন্দোলন করুন দেশের সিংহভাগ মানুষকে যারা গরিব করে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে। এটাই অনেক বড় জেহাদ। কারণ হাদিসে আছে দারিদ্র্য কুফরে নিক্ষেপ করতে পারে মানুষকে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়