শিরোনাম
◈ আগামী নির্বাচনে ভোটার আস্থা নিশ্চিতই প্রধান দায়িত্ব: ফেসবুক বার্তায় তারেক রহমান ◈ ফেব্রুয়া‌রির নির্বাচ‌নে জামায়াতে ইসলামী‌কে দিল্লি কোন চোখে দেখবে? ◈ ইসরায়েল খেললে বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট কর‌বে স্পেন ◈ এ‌শিয়া কা‌পে রা‌তে শ্রীলঙ্কা - আফগা‌নিস্তান মু‌খোমু‌খি, লঙ্কান‌দের জয় দেখার অ‌পেক্ষায় বাংলাদেশ  ◈ আওয়মী লীগ বিহীন বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে এখন যে সব চিন্তাভাবনা  ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, চেলসিকে হা‌রি‌য়ে বায়ার্ন মিউ‌নি‌খের শুভ সূচনা ◈ কিশোরগঞ্জ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য স্থগিতাদেশ উঠিয়ে দিন, না হলে ভিন্ন পথ নেবো, জানালেন ফজলুর রহমান ◈ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা ◈ হ‌্যান্ড‌শেক না করায় অপরাধ হিসা‌বে ভারতের ম‌্যাচ ফি ৫০ ভাগ একং ২‌টি ডি‌মে‌রিট প‌য়েন্ট জ‌রিমানা হ‌তে পা‌রে ◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:৩৭ সকাল
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাকির তালুকদার: ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে পার্থক্য দেখানোর এতো প্রয়াসের কোনো দরকার নেই

জাকির তালুকদার: ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে পার্থক্য দেখানোর এতো প্রয়াসের কোনো দরকার নেই। মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে শতশত ভাস্কর্য আছে, সেসব উদাহরণও আমাদের দেওয়ার কোনো দরকার আছে বলে মনে করি না। হেফাজতের নেতারা দাবি করছেন যে, তারা কোরআন-সুন্নাহ ছাড়া অন্য কোনো উদাহরণ গ্রহণ করতে রাজি না। আমার সোজা উত্তর বাংলাদেশ কোরআন-সুন্নাহর আইন দ্বারা পরিচালিত হয় না। পরিচালিত হয় সংবিধান এবং পেনাল কোড দিয়ে। এখানে চোরের শাস্তি হাতকাটা নয়। ব্যভিচারের শাস্তি অর্ধেক মাটিতে পুঁতে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শব্দটি এই সরকারের অন্যায় ব্যবহারে খেলো হয়ে গেছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সত্যিই ছিলো। কারও কারও মনে এবং জীবনাচরণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিফলিত হয় সবসময়। সেই চেতনা এবং বাংলাদেশের আইন অনুসারে ভাস্কর্য নির্মাণ করা কোনো অন্যায় নয়। কোরআন-সুন্নাহ দ্বারা দেশ চালাতে গেলে আপনাদের তা করতে হবে নিজেরা ক্ষমতায় গিয়ে। চোরাগোপ্তা হত্যা, ফতোয়াবাজি করা, মাঝে মাঝে একটা, দুইটা সমাবেশ করার বদলে পারলে নিজেরা ক্ষমতায় যান। তবে নিজেরা ক্ষমতায় গেলেই যে কোরআন-সুন্নাহর আইন চালাতে পারবেন তারও নিশ্চয়তা নেই। তুরস্কে এরদোয়ান এতোদিন ক্ষমতায় থেকেও তা চালু করেননি। বস্তুত চার খলিফার মোট সাড়ে একত্রিশ বছরের খেলাফতের পরে মুসলিম বিশ্ব থেকে কোরআন-সুন্নাহর আইন উঠে গেছে।
শত শত বছর মুসলিম শাসকরা অর্ধেক পৃথিবী শাসন করলেও কেউ-ই কোরআন-সুন্নাহর আইন পুনরায় প্রবর্তন করেননি। কেন করেননি, সে প্রশ্নের উত্তর নিজেরা পারলে খুঁজে বের করুন। আমি বললে দিলে চোট লাগবে আপনাদের। বাংলাদেশকে কি আপনারা তাহলে দার, উল, হারবো ঘোষণা করবেন? ব্রিটিশ আমলে এক শ্রেণির ধর্মীয় নেতা ভারতবর্ষকে দার উল হারব ঘোষণা করে মক্কায় চলে গিয়েছিলেন। মক্কাই তাদের কাছে তখন একমাত্র দার উল ইসলাম ছিলো। কিন্তু তাদের ঘোষণাকে ভুল আখ্যা দিয়েছিলেন মক্কার চার মজহাবের চার প্রধান মুফতি। তারা জানিয়েছিলেন, যে দেশে নামাজ রোজাসহ ধর্মীয় উপাসনা করতে কোনো বাধা নেই, যে দেশে মুসলমানদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় না, যে দেশে মুসলমানদের জুম্মা-জমায়েতে কোনো বাধা দেওয়া হয় না, সেই দেশকে দার-উল-হারব বলা যাবে না। বাংলাদেশসহ কোনো মুসলিম প্রধান দেশেই কোরআন-সুন্নাহর আইন প্রচলিত নেই। কিন্তু কোনো দেশই দার উল হারব নয়। ভাস্কর্য নিয়ে নয়। আন্দোলন করুন বাংলাদেশের লুটেরাদের বিরুদ্ধে, দেশের তেল- গ্যাস সম্পদকে যারা জনগণের কাজে না লাগিয়ে বিদেশিদের হাতে তুলে দেয় তাদের বিরুদ্ধে, সুন্দরবনকে যারা ধ্বংস করে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে। আন্দোলন করুন দেশের সিংহভাগ মানুষকে যারা গরিব করে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে। এটাই অনেক বড় জেহাদ। কারণ হাদিসে আছে দারিদ্র্য কুফরে নিক্ষেপ করতে পারে মানুষকে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়